অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ দাবানলে ৪৮ কোটি বন্য প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। গত দশ দিনে। বিলুপ্তির পথে বহু প্রাণী।
সম্প্রতি সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বৈচিত্র্য বিশেষজ্ঞ ক্রিশ ডিকম্যান এই তথ্য প্রকাশ করেছেন।
২০০৭ সালে ডব্লিউডব্লিউএফ( ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড ফান্ড অফ নেচার)-এর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী নিউ সাউথ ওয়েলস-এ হেক্টর পিছু প্রায় ১৭.৫ সংখ্যক প্রাণী, ২০.৭ মিলিয়ন পাখি এবং ১২৯.৫ মিলিয়ন সরীসৃপ ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানিয়েছেন, দাবানল পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশজুড়ে তিন হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে। এছাড়া, চারটি ওয়াটার প্লেন ব্যবহার করা হবে। বিপর্যয় মোকাবিলায় সরকারীভাবে ২০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া। নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে আগুন।ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে । প্রাণীদের মৃত্যুর মিছিলে এ সঙ্কট আরও তীব্র রূপ ধারণ করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ক্যাঙ্গারু, এমুর মতো লম্বা পায়ের, দৌড়তে সক্ষম প্রাণীরা এই আগুন এড়াতে পারলেও কোয়েলাসহ অন্য ছোট প্রাণীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
দাবানলে পুড়ে ছাই হয়েছে গিয়েছে হাজার হাজার কোয়ালা। বিলুপ্তির পথে থাকা এ প্রাণীটির বেশিরভাগই বাস করত অস্ট্রেলিয়ার বনাঞ্চলে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের মধ্য-দক্ষিণ উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাসরত প্রায় আট হাজার কোয়ালা মারা গেছে এ দাবানলে, যা এ অঞ্চলের কোয়ালার মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ।
বিশ্বজুড়ে আশঙ্কাজনক হারে মারা যাচ্ছে বন্যপ্রাণীরা। অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে, অনেকে বিলুপ্তপ্রায়। আমাজন বনে দাবানলে হারানো প্রাণীদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে হারিয়ে গেলো প্রায় ৫০ কোটি প্রাণী। এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশংকা করছেন পরিবেশবিদরা। একের পর এক পরিবেশ গোটা বিশ্ব খুব দ্রুত আরও জটিল পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছে।