দেখতে দেথে পেরিয়ে গেল আরও একটি বছর, আবার সেই মূহুর্তের অপেক্ষা যখন আমাপর বাঙালি মেতে উঠবে বাঁধনছাড়া আনন্দে। হ্যাঁ, শারদোৎসব আসন্ন। এক বছর পেরিয়ে উমা তার সন্তানদের নিয়ে আবার বাপের বাড়ি আসছে। তাই তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আপামর বাঙালি। তৈরী জিয়ো বাংলা-ও। জিয়ো বংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল অশ্বিনীনগর বন্ধু মহল ক্লাবের সদস্যরা।
উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সম্পাদক পার্থ সরকার, কোষাধ্যক্ষ স্বরুপ নাগ ও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার মিমি মাইতি। সঞ্চালক রীয়া-র সাথে পুজো আড্ডায় জেনে নিলাম তাদের ক্লাবের বিষয়ে। ৭ই জুলাই ২০১৯, খুঁটি পুজো দিয়ে শুরু হয় তাদের এবছরের পরিকল্পনা, যার সাক্ষি ছিল জিয়ো বাংলা।এবছর ৩৯ তম বর্ষে তাদের থিম “তারের বাঁধনে, ঐক্য সাধনে”। কখনও ভেবে দেখেছেন কি ? একটি সামান্য তামার বা লোহার তার এমনিতে তো নগন্য মাত্র, কিন্তু যখন তা দিয়ে আপনারা কিছু বাধছেন সেই বাধনটি কিন্তু যথেষ্ট পোক্ত।
তাই কখনও নিজেকে বা অন্য কাউকে নগন্য ভাবা উচিত হয়, একদিন সমাজে ঐক্যতা সাধন করতে হয়ত আপনাকেই প্রয়োজন পড়বে। ঠিক এই বিষয়টি কে কেন্দ্র করেই শিল্পী পাপাই সেন সাজিয়ে তুলছে পূজা মন্ডপটি কে। এতেই শেষ নয়, ক্লাব কর্তৃপক্ষোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্যান্ডেলে এক বিশেষ আলোর ব্যবহার থাকবে কিন্তু সেই আলো কোথা দিয়ো আসছে তা ধরতে পারবেন না দর্শনার্থীরা। এমন কি চালচিত্র নিয়ে প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট হলেও, মন্ডপের উচ্চতা কতটা তা জানা যায় নি। শুধু এইটুকু জানা গেছে যে প্যান্ডেলের উচ্চতা নিয়েও থাকছে চমক। শিল্পী পাপাই ঘোষের পাশাপাশি থিম মিউজিকের দায়িত্বে আছেন পন্ডিত মল্লার ঘোষ। তৃতীয়ার উদ্বোধনের পরে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে পূজা মন্ডপ। অষ্টমীতে পল্লীবাসীদের নিয়ে থাকবে মহাভোজের আয়োজন, যেখানে প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার মানুষ মায়ের ভোগ গ্রহন করে থাকেন। বির্সজনের পর সকল পল্লীবাসীদের নিয়ে থাকবে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান। দমদম বা কবি সুভাষ গামী যে কোনও মেট্রোয়ে উঠে নামতে হবে শোভাবাজার সুতানুটি, সেখান থেকে অটো ধরে বাগুইআটি মোড়ের নিকট এই পূজা মন্ডপ।