অরুণাচল প্রদেশে দেখা পাওয়া গেল নতুন প্রজাতির এম্ফি অর্থাৎ ব্যাঙ।
ভারতের উভচর প্রাণীর তালিকা বেশ বৈচিত্রময়। কিন্তু সেই বৈচিত্র্য ধাক্কা খেয়েছিল। বেশ কয়েক প্রজাতির ব্যাঙ লুপ্তপ্রায় তালিকায় চলে যায়।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার একটি দল সম্প্রতি যৌথ সমীক্ষা চালায়। অরুণাচল প্রদেশের নামদাফা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টে। সরু মাথার হলুদ রঙের এই ব্যাঙের এই প্রজাতিটি সাধারণত ‘রাইস ফ্রগ’ নামে পরিচিত।
সদ্য আবিষ্কৃত প্রজাতির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ মিক্রোহেলইকোস’। গ্রিক পুরাণের এক দেবতার নাম অনুসারে। ডিএনএ এবং মর্ফোলজি টেস্ট করার পর নিশ্চিত হয়েছেন তাঁরা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে এই ধরনের প্রজাতির ব্যাঙ পাওয়া যায়। তবে ভারতে এই প্রথম তাদের দেখা মিলল। একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এস ডি বিজু জানিয়েছেন, ‘উত্তর-পূর্ব ভারতে এরকম অজস্র সম্পদ লুকিয়ে আছে। যা এখনও বিজ্ঞানী বা গবেষকদের কাছে অধরা রয়ে গিয়েছে। এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন।’
‘ মিক্রোহেলইকোস’ প্রজাতির ব্যাঙ অন্যান্য সরু মাথার ব্যনের প্রজাতির থেকে অনেকটাই আলাদা। আকার, আয়তন, বর্ণ এবং অন্যান্য বৈশিষ্টের দিক থেকে। এই প্রজাতির বিবর্তন সম্পর্ক বিজ্ঞানীদের স্বচেয়ে বেশি অবাক করেছে। ডিএন এ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ভারতের নয়, বরং দক্ষিণ-এশিয়ার ব্যাঙের স্নগেই বেশি সাদৃশ্য দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, বিশ্বে যত ব্যাঙ অবলুপ্ত হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ- এশিয়াতেই।বিশ্বে ব্যাঙের প্রায় সাড়ে পাক্সচ হাজারের মধ্যে দুশোর বেশি হারিয়ে গিয়েছে।
পরিবেশবিদরা আশঙ্কা করছেন আগামী বিশ বছরের মধ্যে অন্তত দুই হাজার প্রজাতির ব্যাঙ পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে। উষ্ণায়নের কারণে ব্যাঙ এক ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে যা মহামারী হয়ে বিস্তার ঘটছে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে। এম্ফি বিলুপ্তির সেটাও একটা বড় কারণ।