দিল্লির ভয়াবহ দূষণ নিয়ে সরব আমরা সবাই কিন্তু কথায় আছে 'ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে'। জানেন কি দিল্লির দূষণের সঙ্গেই কাঁধে কাঁধ রেখে টেক্কা দিতে চাইছে তিলোত্তমা কলকাতা? আজ্ঞে হ্যাঁ, দূষণ আক্রান্ত শহরের তালিকায় গোটা বিশ্বের নিরীখে এক্কেবারে প্রথম সারিতে উঠে এসেছে 'সিটি অফ জয়'।
দেশের সর্বোচ্চ বহুতলের তালিকায় এ শহরের 'দ্য ৪২' উঠে এসেছে তা যেমন উল্লাসের অন্যদিকে প্রত্যহ যে পরিমাণে ধোঁয়া, ধুলো, কংক্রিট বাড়ছে তা শহরের পক্ষে যথেষ্ট আশঙ্কাজনক এও লক্ষণীয়। উপায় একটাই- আরও সবুজায়ন। এখনই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলার কোনও কারণ নেই, কারণ এবার দূষণের প্রকোপ থেকে শহরবাসীর রক্ষার্থে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ নিতে চলেছে অভিনব এক উদ্যোগ। একটি নয় কলকাতার বুকে দু-দু'টি কৃত্রিম অরণ্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
জানা যাচ্ছে, দু'টি কৃত্রিম অরণ্য তৈরী করা হবে। একটি 'পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং ইন ক্যালকাটা' নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগীতায় খিদিরপুরের ধোবি তালাও এলাকায় ১৭০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে খিদিরপুরের ধোবি তালাও এলাকায় এবং আর একটি তারাতলার শ্রমিক বস্তির কাছে ২০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে। বন্দর দপ্তর এবং বনদপ্তরের এহেন উদ্যোগে দ্রুতই কৃত্রিম বনাঞ্চল পাখিদের চারণভূমি হয়ে উঠবে, এমনটাই আশা করছেন পরিবেশবিদরা। কৃত্রিম উপায়ে শুধু অরণ্যই নয়, জলাশয় বাঁচানোর কর্মসূচিও নিয়েছেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, আরও জানা যাচ্ছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গঙ্গার ধারে সারাবছর ব্যপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীরও। নেচার পার্কের ১০টি জলাশয়কে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও তুলে দেওয়া হয়েছে মৎসজীবী সমবায় সমিতির হাতে। কৃত্রিম অরণ্য থেকে কতটা বিশুদ্ধ বাতাস চলাচল করবে কলকাতার শ্বাস-প্রশ্বাসে তা সময়ই বলবে।