দাম্পত্য জীবনের দীর্ঘ ২৯ বছর পর বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন জনপ্রিয় সঙ্গীত সুরকার এ আর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু। মঙ্গলবার এক বিবৃতির মাধ্যমে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন তাঁরা। তবে এই বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন সুরকারের পরিবার।
এ আর রহমান – সঙ্গীত জগতে এই নামটার সাথে জড়িয়ে রয়েছে কোটি কোটি মানুষের আবেগ। ভারতীয় এই সুরকারের গানের সুরে মুগ্ধ হয়নি এমন মানুষ খুব কমই রয়েছেন। শুধুমাত্র দেশে নয়, বরং আন্তর্জাতিক স্তরেও তাঁর সুরে মুগ্ধ আপামর জনতা। এমন কি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট সম্মান পুরস্কার অস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এ হেন মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও উৎসাহী ও কৌতূহলী তাঁর ভক্তরা। সে কারণে প্রিয় সুরকারের জীবনের এই সংবাদে হতাশ তাঁর ভক্তদের একাংশ।
১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে সায়রাকে বিয়ে করেন রহমান। তবে প্রেম নয় বরং মায়ের পছন্দ করা পাত্রীর সাথে সম্বন্ধ করেই বিয়ে হয় তাঁর। চেন্নাইয়ের সুফি সাধক মোতি বাবার দরগায় সায়রাকে দেখে পছন্দ করেছিলেন তাঁর মা। তারপর ২৮ বছর বয়সে মাত্র ২ মাসের আলাপে জীবনসঙ্গী হিসেবে সায়রাকে বিয়ে করেন রহমান। চেন্নাইয়ের যে বহুতলে রহমানের বিয়ে হয়, ২০০৬ সালে সেখানেই স্টুডিয়ো নির্মাণ করেন সুরকার। এরপর দুই কন্যা ও এক পুত্রকে সাথে নিয়ে ভরা সংসার ছিল এই তারকা দম্পতির। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে রহমানের তিন সন্তানই সঙ্গীতজগতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।
কিন্তু মঙ্গলবার রাতে বিবৃতি দিয়ে সায়রার আইনজীবী বন্দনা শাহ রহমান এবং সায়রার বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন। আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁরা একে অপরকে ভীষণ ভালবাসেন। কিন্তু বেশ কিছু সময় ধরে তাঁদের সম্পর্কে নানা ধরনের মানসিক টানাপড়েন চলছিল। তাই মানসিক দূরত্ব তৈরি হওয়ার কারণেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যদিকে নিজের এক্স হ্যান্ডলে বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানিয়ে রহমান লেখেন, ‘‘আমাদের আশা ছিল বিবাহিত জীবনের ত্রিশ বর্ষপূর্তি একসঙ্গে কাটাব। কিন্তু জীবনের সব কিছুই অজানা পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়। আমরা খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের গোপনীয়তাকে সন্মান জানানোর জন্য সকলকে ধন্যবাদ।’’