এ এক বাবা ছেলের গল্প। কাশ বন, গাঁয়ের ভাঙা দেউল, মাঠ-ঘাট, চেনা নদী পেরিয়ে তাদের কাছাকাছি আসা। মাঝে সাঁকো হয়ে রয়ে গিয়েছে অপর্ণা। অপূর্বকুমার রায়ের মৃতা স্ত্রী।
অপূর্ব কুমার রায় ওরফে অপু। বহু যুগ পার হয়ে তার গাঁয়ে ফেরা। শিকড়ের টানে। এখন তার শিকড় বলতে কাজল। একমাত্র ছেলে।
যাকে নিয়ে সে দেশ দেখতে বেরবে। পার হবে পাহাড় জঙ্গল...সঙ্গী হবে আর এক অভিযাত্রিক চাঁদের পাহাড়ের ‘শঙ্কর’। লীলাও আছে তার জীবনে।
কেটে গিয়েছে ষাট বছর। এবার সে ফিরেছে...
বাঙালির কাছে ফিরেছে অপু। আবার পর্দায়।
‘অভিযাত্রিক’ ছবি দিয়েই আবার ফিরে আসা। সাদা কালো পর্দার নস্ট্যালজিয়ায় তার সঙ্গী ছেলে কাজল।
‘অপরাজিত’ ছবি যেখানে শেষ হয়েছে। সেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছে ‘অভিযাত্রিক’। ১৯৫৯-এর পটভূমিতে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'অপরাজিত' উপন্যাসের শেষ পর্ব নিয়ে গড়ে উঠেছে চিত্রনাট্য। সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’-এর ৬০ বছর পূর্তিতে পরিচালকের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েই তৈরি হয়েছে এই ছবি।২০২১-এর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়।
লম্বা অপেক্ষার শেষে শীতের শহরে অপু ট্রিলজির আবেগকে ফিরিয়ে দিলেন পরিচালক শুভ্রজ্যোতি মিত্র। মুক্তির আগে বিদেশে এবং চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসা পেয়েছে এই ছবি। গত দেড় বছর ধরে বাংলা ছবির দর্শকরা অপেক্ষা করে আছে এই ছবির জন্য।
মহানগরের দেওয়ালে ছবির পোস্টার চোখ টেনে নিয়েছে। অপুর এক আবেগ দ্বিগুণ করেছে উৎসাহকে।
সেই কাশবন। সেই গাঁয়ের পথ। সেই অপু-অপর্ণা চাহনি। বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে অপুর সংসারের গল্পকে। মধুর ভান্ডারকর প্রযোজিত ছবিতে অপুর ভূমিকায় দেখা যাবে অর্জুন চক্রবর্তীকে। কাজলের ভূমিকায় শিশু অভিনেতা অংশুমান মুখোপাধ্যায়। অপর্ণার ভূমিকায় দিতিপ্রিয়া রায়। এছাড়াও আছেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্র, সব্যসাচী চক্রবর্তী, তনুশ্রী শংকর, সোহাগ সেন, বরুন চন্দ প্রমুখ। সঙ্গীত পরিচালনায় বিক্রম ঘোষ।