মধু তৈরির ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি আনতে চলেছে খাদি গামোদ্যোগ কমিশন। বলা ভালো মধু উৎপাদনের জন্য যে মৌমাছি লন করতে হয়, সেক্ষেত্রে উদ্ভাবনী এক পদ্ধতি চালু করতে চলেছে ওই সংস্থা। মৌমাছি ভরা বাক্সের দেখাশোনা ও তা স্থানান্তকরণের জন্য ভ্রাম্যমাণ মৌচাক গাড়ির (অ্যাপিয়ারি অন হুইলস) সূচনা হল নতুন দিল্লিতে। কেন্দ্রীয় অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী নীতিন গড়করি এই গাড়ির সূচনা করলেন বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি।
ভ্রাম্যমাণ এই মৌচাক গাড়ি মৌমাছিদের স্থানান্তকরণ, তাদের দেখভাল এবং উপযুক্ত খাবারের ব্যাপারে মৌ পালকদের বিশেষভাবে সাহায্য করবে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনার সাথে সঙ্গতি রেখে খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশন মধু মিশনের সূচনা করে। গ্রামীণ যুবকদের মৌ প্রতিপালন থেকে অতিরিক্ত আয়ের ব্যবস্থা করে দিতে মৌ বাক্স বিতরণ, প্রশিক্ষণ এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে শিক্ষিত করে তোলার কাজ করে আসছে। অবশ্য মৌ প্ৰতিপালন করতে গেলে কায়িক পরিশ্রমের পাশাপাশি মানসিক স্থিরতা বজায় রাখাও খুব প্রয়োজন। এই কাজকে সহজ, সরল এবং স্বল্পশ্রমী করে তুলতে কমিশন প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পদ্ধতি ভেবে চলেছে।
উল্লেখ্য, ভ্রাম্যমাণ এই মৌচাক গাড়িতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় একসঙ্গে ২০ টি মৌমাছি ভর্তি বাক্স বয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। গাড়ির ভেতর আলাদা আলাদা চারটি পৃথক কামরা রয়েছে। প্রতিটি কামরায় পাঁচটি করে মৌমাছি ভর্তি বাক্স রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি কামরায় পৃথক দরজার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। পরিবহনের সময় মৌমাছিরা যাতে বিরক্ত না হয়, সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই এই কামরাগুলি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও কামরার ভেতর পাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যখনই ভেতরে ৩৫ ডিগ্রি বা তার বেশি তাপমাত্রা হয়ে যাবে, তখনই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাখাগুলি চালু হয়ে যাবে। ভ্রাম্যমাণ এই গাড়িতে এই ধরনের পাখা চালানোর জন্য সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে।
পরীক্ষামূলকভাবে গাড়িগুলি দিল্লির লাগোয়া সর্ষে ক্ষেতের আশপাশে বসানো হবে এবং স্থানীয় মৌ প্ৰতিপালকেরা মৌমাছি ভরা বাক্সগুলির ওপর নজর রাখবেন। শুরুর এই পরিকল্পনা যদি সফল হয়, তাহলে সারা দেশেই এই প্রকল্প চালু করার চিন্তাভাবনা করা হবে বলে জানিয়েছে খাদি মন্ত্রক।