আই টি সি সোনার-এ অপরাজিতা ২০১৯-এর অনুষ্ঠানে বসেছিলো চাঁদের হাট। 'ক্ষমতায়ন নারী, নারীর ক্ষমতায়ন'- এই চিন্তাধারাটি কে এগিয়ে নিয়ে যেতেই আসে অপরাজিতা। এটি বাংলার সংগ্রামী নারীদের অবদান এবং প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি প্ল্যাটফর্ম। যার জন্যই এয়ার মার্শাল (ডঃ) পদ্মা বন্দোপাধ্যায়, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রথম নারী বিমান বাহিনী এয়ার মার্শাল মিসেস প্রেমলতা আগরওয়ালের সাথে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়াও এই অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন এভারেস্ট জয়ী মিসেস সোনালী বোস, প্রখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক ও প্রযোজক, মিসেস আঞ্জোলি ইলা মেনন, বিখ্যাত শিল্পী মিস সাগরিকা দা কোস্তা।
এই সমস্ত বিশেষ মহিলারা এবারের অপরাজিতা ২০১৯ -এর মনোনীত ব্যক্তিদের তালিকায় ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে এই সমস্ত বিশেষ নারীরা তাদের যাত্রা এবং সাফল্যের পথে তাদের অনুপ্রেরণামূলক গল্প তুলে ধরেছেন। তাঁদের জীবনের অনুপ্রেরণামূলক গল্পগুলির মধ্যে যে বিষয়টি সকলের মধ্যেই অনুপ্রেরণার মূল বিষয় হিসেবে ছিল, তা হল- অধ্যবসায় এবং উত্সর্জন। ক্রীড়া, ফ্যাশন, খাদ্য ও পানীয়, লাইফস্টাইল, সাহিত্য, ব্যবসা ও সঙ্গীত-এর ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য যাঁরা বিশেষ অবদান রেখেছেন তাঁদেরকে মনোনীত করে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এই বিশেষ সম্মান শহরের সমস্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের তাদের অসাধারন কর্মকান্ডের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। ২০১০ সালে এই অনুষ্ঠান প্রথম শুরু হয়।
'অপরজিতার' ৮ম সংস্করণের পুরস্কৃত বিজয়ীদের মধ্যে ছিলেন মার্কিন কনসাল জেনারেল শ্রীমতি প্যাটি হফম্যান, কলকাতা, ফ্রান্সের কনসাল জেনারেল শ্রীমতী ভার্জিনি কোর্তেভাল, বিশিষ্ট অভিনেত্রী জুন মালিয়া, প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল, প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্ত, সুপরিচিত লেখক রক্ষা ভারতী, এবং মাস্টারশেফ ইন্ডিয়া বিজয়ী কিরি ভূট্টিকা। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন অপরাজিতার কিউরেটর রুচিকা গুপ্ত।