বাড়িতে অনেকেই নানা ধরণের গৃহপালিত প্রাণী রেখে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে পোষ্য হিসেবে তাদের রাখলেও কিছু ক্ষেত্রে তাদের ব্যবসায়িক কাজে লাগানো হয়ে থাকে। সবক্ষেত্রে যে তাদের ভালোবাসা দিয়ে নিজের বাড়ির সদস্য মনে করে রাখা হয় তা কিন্তু নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের পণ্য হিসেবেই দেখা হয়। একটি ঘরের মধ্যে তাদের একসাথে রাখা হয়। এর ফলে রোগ জীবাণু খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। বলা ভালো তেমনটাই হয়। যেমন বিভিন্ন পোলট্রিগুলোতে মুরগি সব একসাথেই খাঁচায় রাখা হয়। ফলে একটি মুরগির শরীরে কোনো রোগ জীবাণু বাসা বাঁধলে পরপর সমস্ত মুরগি সেই রোগে আক্রান্ত হতে থাকে।
সেইদিন এবার শেষ হতে চলেছে। সম্প্রতি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে যে, প্রতি প্রাণীর আইনি স্বীকৃতি রয়েছে। আর স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনো প্রাণীর সাথে বস্তুর তুলনা করা যাবে না। কোনো বস্তুসম আচরণ তাদের সাথে করা যাবে না। এর আগে উত্তরাখন্ড সরকার প্রাণীদের কল্যানে এরকমই একটি আইনের প্রণয়ন করেছিলেন সেখানে। সেই একই পথে হাঁটতে দেখা গেলো এবার পাঞ্জাব ও হরিয়ানাকে। পাঞ্জাব-হরিয়ানার তরফে কোর্টের প্রধান বিচারক রাজীব শর্মা এই নির্দেশিকা জারি করেন।
এর আগে উত্তরাখন্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকা রাজীববাবু জানান, কোনো প্রাণীকে নিজের সম্পত্তি ভেবে তার সাথে ইচ্ছে মতন খারাপ আচরণ করা যাবে না। সকলকেই মনে রাখতে হবে প্রতিটি প্রাণীই প্রাণী। কারোর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। প্রতিটি প্রাণী এই সমাজে বৈধ সত্ত্বা হিসেবে বিবেচিত হবে। এরই সাথে সাথে এটাও জানানো হয়, প্রতিটি প্রাণীর সঠিক যত্ন নিতে হবে। সেই প্রাণী যাতে সুখী এবং স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে ঠিক থাকে সেই দিকেও তাদের মনিবদের নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।