২০০৮ সালে বিশ্বের ৬ নম্বর ধনী ব্যক্তির স্থানটা ছিল তাঁর। সম্পত্তির আর্থিক মূল্য ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৪ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু এগারো বছর বাদে সেই জায়গা তো বটেই এমনকি বিলিয়নেয়ার ক্লাব থেকে ছিটকে গেলেন অনিল আম্বানি। তাঁর বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬৫১ কোটি টাকায়।
চার মাস আগেই অনিল আম্বানির ‘রিলায়েন্স গ্রুপ’ এর বাজার দর ছিল আট কোটি টাকা। কিন্তু টাকা মেটাতে না পারায় শেয়ার হাতছাড়া হয়ে যায়। দেউলিয়া হয়ে যায় দুই সংস্থা রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস এবং রিলায়েন্স নাভাল সংস্থা।
গত মার্চে তাঁর বড় দাদা ও এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি অনিলের হয়ে রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের জন্য ৮০ মিলিয়ন ডলার ঋণশোধ করে তাঁকে জেল যাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দেন। কিন্তু তাতেও যে ভরাডুবি আটকানো সম্ভব হয়নি।
২০১৮ সালে অনিলের মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১. ৭ লক্ষ কোটি টাকা। দেনার চাপ সামাল দিতে বেশ কিছু সম্পত্তি বিক্রি করতে হয়। সম্পত্তি বিক্রি করতে করতে
ক্রমশ সাম্রাজ্য খোয়ানোর দিকেই এগিয়ে চলেছেন অনিল। গত সপ্তাহে তিনি দাবী করেছিলেন ১৪ মাসের মধ্যে ৩৫,০০০ কোটি টাকা মোট ঋণের মধ্যে ২৪,৮০০ কোটি টাকা এবং ১০, ৬০০ কোটি টাকা শোধ হয়ে গিয়েছে। বকেয়া ঋণ আগামি কিছু দিনের মধ্যেই শোধ হয়ে যাবে।
দাদা মুকেশ আম্বানির ২০১৭-১৮ সালে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি থেকে ১৪,৫০০ কোটি টাকা আয় ক্রেছে। সেই জায়গায় অনিল দেনার কারনে কেবল সম্পত্তি খুইয়ে চলেছেন।
২০১৮ সালে মুম্বইয়ে রিলায়েন্স ইনফ্র্যাস্ট্রাকচারের পাওয়ার ইউনিট গুজরাতের আদানি গ্রুপকে বিক্রি করে দেন। তিলাইয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পও তাঁর হাতছাড়া হয়।