Angel Tax: ‘দেবদূত কর’ বাতিল করল সরকার, কী এই কর?

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সম্প্রতি প্রকাশিত করেছেন বাজেট। সেখানে বিভিন্ন জিনিসের অর্থ এবং মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পাশাপাশি দেবদূত কর বা অ্যাঞ্জেল ট্যাক্স বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

কী এই দেবদূত কর?

আয়কর আইনের ৫৬ নম্বর ধারায় নথিভুক্ত এটি। মূলত বিনিয়োগকারী সংস্থার উপরে এই কর লাঘু করা হয়েছিল। বাজারে নথিভূক্ত নয় এমন স্টার্ট আপ সহ বিভিন্ন সংস্থায়, নানান বেসরকারি উদ্যোগ, অল্টারনেট ইনভেসমেন্ট প্রভৃতি ফান্ড মূলধন বিনিয়োগ করে। কিন্তু এই সমস্ত বিনিয়োগকারী সংস্থাকে বুক ভ্যালু বা নথিতে উল্লেখিত দামের থেকে বেশি দামে কোন সংস্থা নিজস্ব শেয়ার বিক্রি করলে, বাড়তি যে টাকা পাওয়া যায়, তার উপরে দেবদূত কর দিতে হয়।

কবে চালু করা হয়েছিল?

এই ট্যাক্স কার্যকর হয়েছিল ২০১২ সালে। তৎকালীন দেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তিনি ওই বছরের অর্থ সংক্রান্ত আইনের আওতায় অ্যাঞ্জেল ট্যাক্স চালু করেছিলেন।

কিন্তু সেই সময় এই ট্যাক্স শুধুমাত্র দেশের বিনিয়োগকারীদের জন্যই প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে ২০২৩-২৪ সালের অর্থবর্ষের বাজেটে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্যও এই ট্যাক্স বরাদ্দ করা হয়।

কেন এই কর চালু করা হয়েছিল?

মূলত আর্থিক তছরুপ ও হিসাব বহির্ভূত লেনদেন আটকানো ছিল এই করের উদ্দেশ্য। যাতে ব্যাবসায় কালো টাকা বা অসাংবিধানিক কাজকর্ম না হয় বেসরকারি বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে। 

কিন্তু বর্তমানে ২০২৪ সালে বাজেট পেশ করার সময় নির্মলা সীতারামন জানান, সব রকমের লগ্নির ক্ষেত্রেই তুলে নেওয়া হচ্ছে এই কর। এর প্রধান উদ্দেশ্য, স্টার্ট-আপ বা উদ্যোগপতিদের নিজেদের উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করা। কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট পেশের আগে 'ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেন্ড' (ডিপিআইআইটি) স্টাট-আপ গুলির উপর এই শুল্ক বাতিল করার সুপারিশ করেছিল।

বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়ে নতুন স্টার্টআপ গড়ে তুলতে উদ্যোগী বিভিন্ন মানুষ। কিন্তু প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগকারী খুঁজে পাওয়া একটা মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ। সেইখানে যদি এমন কর ক্রমাগত বিনিয়োগকারীদের দিয়ে যেতে হয় তবে অনেক সংস্থাই পুঁজি ঢালতে উৎসাহী হবে না। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন উদ্যোগ। এর ফলে উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক মনোভাব বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে সরকার।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...