কাকদ্বীপে জমিদার বাড়ির সিন্দুকে মিলল প্রাচীন মূর্তি ও মুদ্রা

কাকদ্বীপ মহকুমার ঢোলার বাহিরচক গ্রামে উঠেছে গুপ্তধনের গুজব । কয়েকশো বছরের প্রাচীন জমিদার বাড়ির দেওয়াল ভেঙে উদ্ধার হয়েছে লোহার সিন্দুক। সেই সিন্দুক ঘিরেই ঘনীভূত হচ্ছে গুপ্তধনের রহস্য । অজস্র কৌতূহলী মানুষ সিন্দুক দেখত এসে ভিড় জমিয়েছেন জমিদারবাড়িতে । পুলিস সেই সিন্দুক উদ্ধার করে থানায় নিয়ে সিন্দুক ভেঙে উদ্ধার করেছে কয়েকশো বছরের পুরোনো অদ্ভুত ধরনের ধাতব গণেশ মূর্তি। তাতে সোনা, রূপো ছাড়াও অন্য ধাতুর মিশ্রণও রয়েছে বলে পুলিসের ধারণা। পাশাপাশি পাওয়া গিয়েছে, প্রচুর পুরানো সময়ের সোনা ও রূপোর মুদ্রা। পুলিশ সূত্রে খবর , মূর্তি ও পুরোনো মুদ্রা ছাড়াও দু’টি রূপোর কয়েন পাওয়া গেছে সিন্দুক থেকে যা বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময়কার। বাকিগুলি মুদ্রার উপর ময়লা জমে থাকার ফলে কিছু বোঝা যাচ্ছে না । পুলিস উদ্ধার হওয়া সিন্দুকের মূর্তি ও মুদ্রা প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগে পাঠিয়ে দেবার প্রস্তুতি নিয়েছে।


উদ্ধার হওয়া মূর্তি বা মুদ্রাগুলি দেখে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা সেগুলি বেশ প্রাচীন । প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য বিচারে এগুলির গুরুত্ব গুপ্তধনের মতোই । এর প্রত্নতাত্বিক গুরুত্ব বা প্রেক্ষাপট জানতে এগুলিকে তাই গবেষকদের কাছে পাঠানো হয়েছে । ঢোলা থানার ওসি বলেন, এসব উদ্ধার হওয়ার পর বোঝা যাচ্ছে সুন্দরবনের এই তল্লাটে তিনশো বছর আগেও জনবসতি ছিল । দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন এলাকার প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে চর্চা করা বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী বলেন, এ জেলায় অনেকদিন আগে থেকেই পাল, সেন ও মৌর্য সময়ের জিনিস পাওয়া গিয়েছে । একই কথা জানিয়েছেন বারুইপুরের প্রবীণ সিপিএম নেতা হেমেন মজুমদার । গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে আড়াই থেকে তিন হাজার বছর আগের পাল, সেন ও মৌর্য সময়ের নানা প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন ও ব্যবহৃত জিনিসের খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি । বহিরচক জমিদার বাড়ির সিন্দুক ভেঙে যা পাওয়া গিয়েছে তা কোন সময়ের বা কাদের তা যাচাই না করে বলা যাবে না।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...