In English
দামোদর নদের তীর থেকে আবিষ্কৃত হল একটি প্রাচীন সূর্য মূর্তি। রবিবার দুপুরে মূর্তিটি উদ্ধার করে রায়না থানার পুলিশ এবং স্থানীয় গ্রামবাসীরা। বর্তমানে গবেষণার জন্য মূর্তিটিকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হাইলাইটসঃ
১। আবিষ্কৃত হল একটি প্রাচীন সূর্য মূর্তি
২। দামোদর নদের তীর থেকে এটিকে উদ্ধার করা হয়েছে
৩। এগারোশো বছরের পুরনো হতে পারে এই মূর্তি
জানা যায়, প্রাচীন এই মূর্তিটি আচমকাই আবিষ্কার করে একদল যুবক। পূর্ব বর্ধমানের হরিপুর এলাকায় দামোদর নদের তীরে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন তারা। হঠাৎই মূর্তিটি তাদের নজরে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজ়িয়ামের আধিকারিক শ্যামসুন্দর বেরা। এরপর স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যে সূর্য মূর্তি উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়।
এবিষয়ে মিউজ়িয়ামের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্যামসুন্দর জানান, মূর্তিটি দক্ষিণ দামোদর এলাকার হরিপুর গ্রামে পাওয়া গিয়েছে। এটা নতুন পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে পড়ে। সূর্য মূর্তিটি দামোদর নদের গর্ভ থেকে উদ্ধার করে হয়েছে। ব্যাসল্ট পাথর দিয়ে তৈরি এই মূর্তিটির উচ্চতা প্রায় তিন ফুট, প্রস্থ দেড় ফুটের কাছাকাছি। মনে করা হচ্ছে, পাল বা সেন আমলে তৈরি হয়েছিল এটি। সেই হিসেবে প্রায় এগারোশো বছরের পুরনো হতে পারে এই মূর্তি।
বর্তমানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজ়িয়ামে আরও কয়েকটি সূর্য মূর্তি রয়েছে। কিন্তু এই মূর্তিটি ‘ব্যতিক্রমী’। কারণ, এই সূর্যমূর্তিতে কীর্তিমুখ এবং উড়ন্ত বিদ্যাধরের উপস্থিতি রয়েছে। এছাড়াও একচক্র এবং সপ্তাশ্ববাহী রথ রয়েছে সেখানে। তবে বালি থেকে তোলার সময় মূর্তিটির মুখমণ্ডলের কিছুটা ভেঙে গিয়েছে। বর্তমানে এই সূর্য মূর্তির নেপথের ইতিহাস জানার চেষ্টায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা।
