হার্ট বাইপাস সার্জারি কেন করা হয়?

গ্রীষ্মের সকালে বাজারে করতে গিয়েছিলেন বিকাশবাবু। পঁয়ত্রিশ বছরের অভ্যাস এতটুকু ফাঁক নেই। কর্মক্ষেত্র থেকে অবসর গ্রহণের পর বাজার যাওয়ার আগ্রহ আরও বেড়েছে বই কমেনি। আগে অফিসের তাড়ায় কারুর সঙ্গে দু’দন্ড কথা বলার সময় থাকত না, এখন সে ব্যস্ততা কমেছে।

সেদিন কী যে হল বাজার থেকে বাড়ি ফিরে! গলগলিয়ে ঘাম, শরীর জুড়ে অস্বস্তি। প্রথম প্রথম গরমের তাতে শরীর খারাপ বলে মনে হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হল।

বয়স আর অসুস্থতার ধরণ শুনে ডাক্তারবাবু টেস্টের সুপারিশ করলেন। রিপোর্টে কার্ডিয়াক ব্লকেজের সমস্যা। ‘বাইপাস সার্জারি’ ছাড়া গতি নেই। করোনারি আর্টারি বাইপাস সার্জারি। 

হার্ট বাইপাস সার্জারি এখন আমজনতার চেনা শব্দ হয়ে গিয়েছে। কারুর ‘বাইপাস’ হচ্ছে শুনলেই কেউ তেমন অবাক হয় না। কিন্তু কী এই হার্ট বাইপাস সার্জারি?

হার্টের ব্লকের চিকিৎসায় সাধারণত বাইপাস সার্জারি করা হয়। বাইপাস সার্জারিতে, একটি সুস্থ ধমনী শরীরের অন্য অংশ থেকে নেওয়া হয়। সাধারণত বাহু, বা বুক থেকে কিংবা পা থেকে  নেওয়া হয় এবং হৃৎপিণ্ডের অবরুদ্ধ ধমনীতে সংযুক্ত করা হয়। এটি রক্তকে ক্ষতিগ্রস্ত ধমনীকে বাইপাস করতে দেয় এবং হার্টের পেশীসমূহের কাজকে উন্নত করে। রক্ত চলাচলের বিকল্প পথের বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়। যার ফলে হৃদযন্ত্রে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক হয় ওঠে আবার।  

কলকাতা তো বটেই পূর্বাঞ্চলে হার্টের চিকিৎসায় দিশা দেখিয়েছিল আনন্দলোক হসপিটাল। স্বল্প খরচে বাইপাস সার্জারি এবং হার্টের চিকিৎসা করা হয়। কোনও রোগীর শারীরিক স্থিতির অবনতি ঘটলে ২৫ টি ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই জটিল এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসার ক্ষেত্রে সুলভে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে আসছে এই হসপিটাল।

হার্টের চিকিৎসা ছাড়াও হার্নিয়া, হাইড্রোসিল, গলব্লাডার স্টোনের মতো সমস্যার চিকিৎসার সুযোগও রয়েছে। 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...