বিয়ে, অন্নপ্রাশন বা যে কোন শুভ অনুষ্ঠানের সময় নাড়ু তৈরী বাঙালির ঐতিহ্য। নাড়ুর আবার রকমফের অনেক। কিন্তু পুজো পাব্বণ বাদ দিয়েও শুধু মাত্র আনন্দের অনুষ্ঠানে বিশেষ ধরনের নাড়ুর চল শুধু মাত্র বাঙালিদের মধ্যেই আছে। উপলক্ষ্য যেহেতু আনন্দ তাই নাড়ুর নামও আনন্দ। একান্নবর্তী সংসারে বাড়িতে উৎসবের আয়োজন হলে আত্মীয়স্বজনরা। উৎসব শেষ হলে সবাইকে খৈ-মুড়কির সঙ্গে আনন্দনাড়ু দেওয়ার চল ছিল। এই নাড়ু তৈরীর হত সবাই মিলে। নাড়ু তৈরীর করতে করতে ছড়া কাটতেন তাঁরা। অঞ্চলভেদে বদলে যেত ছড়ার ভাষা।
যৎসামান্য ঘরোয়া উপাদান দিয়ে তৈরী হত আনন্দ নাড়ু। ইচ্ছে করলেই এলাহি আয়োজনে নাড়ুর স্বাদ বদলে ফেলা যেত না। ধনীর ঘরের আনন্দ নাড়ুর যা স্বাদ, নির্ধনের ঘরেও তাই। এখন রেডিমেডের যুগে নারকেল নাড়ু থেকে তাল ফুলুরি সব পাওয়া যায় খোলা বাজারে, কিন্তু মা-মাসিপিসির হাতের আদরে তৈরী আনন্দ নাড়ু আজও বাজারে সুলভ নয়। এই নাড়ুর স্বাদ পেতে হলে আসতেই হবে বাঙালি ঘরের উৎসবে। সেখানেই মিলবে এর মিঠে কড়া স্নিগ্ধ স্বাদ। ইচ্ছে হলে বাড়িতেও বানাতে পারেন। খুব শক্ত নয় পদ্ধতি। তবে উপকরণের উপাদান যথাযথ নাহলে তৈরীর ভাজার সময় ফেটে যায় নাড়ুর গা।
উপকরণ
আটা-২৫০ গ্রাম
চালের গুঁড়ো -২৫০ গ্রাম
আখের গুঁড়ো - ২৫০ গ্রাম
নারকোল কোরা- ২ টো
সাদা তিল-২৫০ গ্রাম
নারকেলের জল- ৪ কাপ
সর্ষের তেল-৫০০ গ্রাম
আটা, চালের গুঁড়ো, আখের গুড়, নারকোল কোরা, সাদা তিল ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। নারকেলের জল দিয়ে মেখে ছোটো করে লেচি কেটে হাতের তালুতে গোল করে পাকিয়ে নিতে হবে। কড়াইতে সাদা তেল গরম হলে গোল্লাগুলো কড়াইতে দিয়ে লাল করে ভাজতে হবে।