কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে শৈশবের গ্রাম বানাবার স্বপ্ন অনামিকার

কয়েক দশক আগে আমাদের বাবা-মা আমাদের নিয়ে যান তামিলনাড়ুর একটি গ্রামে। একটি কুঁড়ে ঘরে তাঁরা আমাদের থাকতে বলেন।আমরা মাঠে খেলে বেড়াতাম।নদীতে সাঁতার কাটতাম। চাষিদের নানা কাজে সাহায্যও করতাম। তার পর নানা জায়গায় আমাদের ঘুরতে নিয়ে যান তাঁরা। কিন্তু আজও সেই বিশেষ সফর আমাদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল।

কথাগুলো একটানা বলছিলেন অনামিকা বিস্ত। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা তিনি। বোকারো শিল্পাঞ্চলে এমন ভাবেই বেড়ে উঠেছেন তিনি।তাঁর পর দু’দশক কর্পোরেট কেরিয়ারের পর ফের তিনি ফিরে গিয়েছেন তাঁর শেকড়ে। ছেলেবেলার গ্রামের জীবনকেই এ বার শিশুদের উপহার দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি

অনামিকা জানালেন, ছেলেবেলায় খেলা কবাড্ডি, পিট্টু ফের ফিরিয়ে আনতে চান তিনি। খেলাতেই শুধু থেমে থাকবে না তাঁর চিন্তা। তার সাথে আপাদমস্তক গ্রাম জীবনটাই ফিরিয়ে আনবেন তিনি। ঝাড়খণ্ডে বেড়ে উঠেছেন অনামিকা। মুম্বইয়ের এসএনডিটি থেকে সাহিত্যে স্নাতক ও পরে স্নাতকোত্তর করেন এনআইএফটি দিল্লি থেকে। 

পড়াশোনা শেষ করেই চাকরিতে ঢোকেন। তার পর কেটে যায় দু’দশক। ক্রমশ হতাশ হতে শুরু করেন তিনি। মনে চেপে বসে জেদ। অবশেষে ফের শেকড়ে ফেরার সিদ্ধান্ত। জানালেন, "আমি কর্পোরেট জীবনে ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলাম।আর সেই কেরিয়ার চাইছিলাম না। তখনই জাক্কুরে একটি জমি দেখান আমার এক বন্ধু। মনে হল, সেই জমিটা নিয়ে নতুন কিছু করা যাক। সেখান থেকেই কমিউনিটি ফার্মিং এর চিন্তা মাথায় আসে।"

বর্তমানে রীতিমত খ্যাত এই খেতে আরও মানুষের অংশগ্রহণ চান তিনি। চান, তার হাত ধরেই বেড়ে উঠুক এই স্বপ্ন আরও আগামীতে

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...