‘শিল্পচর্চা ফাউন্ডেশন’-এর উদ্যোগে এক চিত্র-ভাস্কর্য প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় গগনেন্দ্র প্রদর্শশালায়। প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী এবং চিত্র সমালোচক দেবব্রত চক্রবর্তী এবং চিত্রপ্রেমী তথা ‘মায়া আর্ট গ্যালারি’র প্রতিষ্ঠাতা মধুছন্দা সেন।
কলকাতা ও কলকাতার বাইরের বহু শিল্পীর অনবদ্য সৃষ্টি রয়েছে গ্যালারিতে। প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রদর্শনের সময় দুপুর ২ টো থেকে রাত ৮ টা।
ডুয়ার্স থেকে এসেছেন বহু শিল্পী। শিল্পীদের মধ্যে কয়েকজন হলেন অনুকূল বর্মণ (ডুয়ার্স), মনোতোষ বসাক (ডুয়ার্স), কিশোর রায় (ডুয়ার্স), অরুণ কুমার বসাক (অসম)। রয়েছে আরও বহু শিল্পীর হাতের নিপুণ ছোঁয়া। প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী দেবব্রত চক্রবর্তীর শিল্পকীর্তিও শোভা পাচ্ছে প্রদর্শনীতে।
‘শিল্পচর্চা ফাউন্ডেশন’-এর পক্ষ থেকে অমিত বিশ্বাস এবং চিণ্ময় মুখোপাধ্যায় জানান- “এই ধরনের আয়োজন শিল্পচর্চা ফাউন্ডেশন এই প্রথম করল। আগামীদিনে এহেন আরও অনেক কাজ করার ইচ্ছা আছে। প্রচারের আলোয় আসতে পারেন না এমন শিল্পীদের জায়গা করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এবারেও দূরদুরান্ত থেকে শিল্পীরা এসেছেন তাঁদের শিল্পকলা সঙ্গে নিয়ে। আগামী দিনেও এর অন্যথা হবে না।”
‘শিল্পচর্চা ফাউন্ডেশন’-এর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মধুছন্দা সেন। প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী দেবব্রত চক্রবর্তী শিল্পীদের উদেশ্যে বলেন, প্রত্যেকের আঁকা এবং ভাস্কর্য নজর কাড়ার মতো। এঁদের মধ্যে অনেককেই আমি চিনি। প্রত্যেকেই দারুণ গুণী। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এই যে শিল্পীরা প্রায়ই বলেন “আমার ছবিটা কত কোণায় টাঙ্গানো হয়েছে। অন্যগুলো সহজেই মানুষের নজরে পড়ছে, আমারটা পড়ছে না।“... কিন্তু কার ছবি দেখা যাচ্ছে আর কার ছবি কোণায় পড়ে আছে তা নিয়ে সত্যিই চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। সমালোচকরা ভাল ছবি ঠিক খুঁজে নিয়ে তার প্রশংসা করবেন। যারা কিনতে আসবেন তাঁরাও তাঁদের পছন্দটা পুরো গ্যালারি ঘুরে ঠিক খুঁজে নেবেন। সেখানে কারটা সামনে টাঙানো আর কারটা পিছনে রয়েছে সেটা বড় বিষয় নয়। শিল্পটাই বড় কথা।