তরুরাজি সংরক্ষণে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা

গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য ধীরে ধীরে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে পৃথিবী। সেই পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারে কে?  পারে একমাত্র গাছ। গাছ বা উদ্ভিদ পৃথিবীর ফুসফুস হিসেবে কাজ করে। সেই গাছই দিনের পর দিন মানুষের অত্যাচারে অতিষ্ট। পৃথিবীতে গাছের পরিমান কমে গেলে যেমন বৃষ্টিপাতের পরিমান কমে যাবে সেরকম দিনের পর দিন বৃষ্টিপাতের অভাবে পৃথিবী চলে যাবে খরার অধীনে। বারবার এই নিয়ে বিশ্ব সম্মেলন করার পরেও অনেক জায়গায় চলছে অবিলম্বে গাছ কাটা। কিছু ক্ষেত্রে আবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে হারিয়ে যাচ্ছে কিছু গাছ। উপড়ে যাচ্ছে সেইসব গাছ। কিন্তু তাদের খেয়াল কে রাখবে?  মানুষ বা পোষ্য অসুস্থ হলে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাওয়া যায় অ্যাম্বুলেন্স কিন্তু গাছেদের কোনো অ্যাম্বুলেন্সও নেই আর কোনো হাসপাতালও নেই। তাহলে কি হবে অসুস্থ গাছদের?

সেই কথা মাথায় রেখে চেন্নাইতে এক অভিনব পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে গাছেদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালুর কথা ভাবা হয়েছে। জানা গেছে,  কোনো কিছু নির্মাণের সময় বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে যদি কোনো গাছ কাটা হয় কিন্তু এবার আর সেরকমটি হবে না। কোনো জায়গায় নির্মাণকাজের ক্ষেত্রে গাছ যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সেই মাটি থেকে গাছটি তুলে অ্যাম্বুলেন্স-এ করে নিয়ে যাওয়া হবে অন্য জায়গায় এবং সেখানেই পুনরায় রোপিত হবে সেই মহীরুহ। তাছাড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্যেও যদি গাছ উপড়ে গিয়ে থাকে তাহলে তাকেও অ্যাম্বুলেন্স-এ চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে অন্য জায়গায়। গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে চেন্নাইতে এই প্রকল্পের সূচনা করেন উপ-রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া  নায়ডু।

এই প্রকল্পের কথা প্রথম মাথায় আসে পরিবেশ আন্দোলনকারী কে আবদুল ঘানির মাথায়। 'গ্রিন ম্যান অফ ইন্ডিয়া' নামে পরিচিত এই ব্যক্তি এই দেশেই প্রায় ৪০ লক্ষ গাছ পুঁতেছেন। গাছেদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার কথা অনেকদিন আগেই তিনি বলেছিলেন তারপর তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার দ্বারস্থ হওয়ার পর এই অ্যাম্বুলেন্স আসে। সেই সংস্থার কর্মকর্তা জানান, প্রতিবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরে কিছু না কিছু প্রাপ্তবয়স্ক গাছ উপড়ে গিয়ে থাকে। এই ঘটনা যাতে আবারও না ঘটে তার জন্যই এই বন্দোবস্ত।  

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...