আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকে শুরু হছে অম্বুবাচী|৫১টি সতীপীঠের অন্যতম সতীপীঠ অসমের নীলাচল পাহাড়ের বক্ষে অবস্থিত কামাখ্যা মন্দির যেখান থেকেই এই অম্বুবাচী পালনের সূত্রপাত|যার ইতিহাস সুদূরপ্রসারী| একান্নটি খন্ডে বিভক্ত হওয়া সতীরদেহের একটি অংশ সতীর যোনী এই স্থানে পরে ও এর ফলে এই পিঠের মাহাত্ম্য শতগুণ|
হিন্দুসমাজে এই অম্বুবাচির গুরুত্ব অসীম | অম্বুবাচী চলাকালীন এই চারদিন প্রতিটি হিন্দু পরিবারের পুজোয় আসে বহু নিয়ম কানুন| সতীপীঠ কামাখ্যাতেও এই তিনদিন বন্ধ থাকে মন্দির, তাহলে জেনে নিন ঠিক কি কারণে এই অম্বুবাচী পালন ও তা চলাকালীন কি কি করা উচিত নয় বা হিন্দু পরিবারগুলি প্রধানত কি নিয়ম মেনে চলেন|
প্রথমত, কামাখ্যায় পুজোর জন্য বিশেষভাবে দেবীর কোনো মূর্তি নেই দেবীর যোনীকুন্ডকেই মূলত পুজো করা হয় এবং এই চারদিন ওই কুন্ড থেকে যে রজঃ নিসৃত হয় তা অতিপবিত্র মনে করা হয় ও মন্দিরে আগত সকল পূন্যার্থীদের একটি লাল কাপড়ে তা দেওয়া হয় যা মঙ্গলের প্রতীক|
দ্বিতীয়ত, এইসময় মেদিনী অপবিত্র হওয়ার দরুন পতিহীনারা ও সৎ ব্রাহ্মনরা পাকে বানানো খাবার এই কদিন গ্রহণ করেন না|যেমন উনুনে রান্না করা বা নুন বা চিনি মিশ্রিত খাবার,কোনো মিষ্টি খান না তার বদলে আগে রান্না করা খাবার খান
তৃতীয়ত, অম্বুবাচির এই চারদিন সমস্ত মন্দির,দেবদেবীর পুজো ও ঠাকুরের মুখ দেখা বন্ধ থাকে অশুচির কারণে|
চতুর্থত, এটি হলো বছরের সেই সময় যখন মহিলারা সন্তান প্রাপ্তির জন্য এইস্থানে প্রার্থনা করে থাকেন|এছাড়াও এইসময় বিভিন্ন রকম তন্ত্রসাধনাও হয়ে থাকে|