আলফানসো আমের চাষ হবে এবার আমাদের রাজ্যের অনাবাদী জমিতে

"আমসত্ত্ব দুধে ফেলি
তাহাতে কদলী দলি,
সন্দেশ মাখিয়া তাতে,
হাপুস-হুপুস শব্দ
চারিদিক নিস্তব্ধ পিপিলিকা হাঁটিয়া যায় পাতে|"

এখন এই ছড়াটি হয়ত মুখে মুখে ফেরে না, কিন্তু এটা একসময় খুব জনপ্রিয় ছড়া ছিল বাঙালিদের মধ্যে| গরম কাল মানেই আম, বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় ফল| হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোলাপখাস প্রভৃতি বহু আমের স্বাদে-গন্ধে আমরা বিভোর হয়ে থাকি সারা গ্রীষ্মকাল|

মালদা জেলার আম তো বিশ্বে বাংলার নাম উজ্জ্বল করেছে| এবারে ভিনরাজ্যের বিখ্যাত আলফানসো আম এই রাজ্যে যাতে চাষ করা যায়, তাতে উদ্যোগী হল পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ| মূলত পতিত জমিতে আলফানসোর বাগান তৈরী করা হবে বলে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ সুত্রে জানা গিয়েছে| ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের ডাপোলি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে| এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমের চারা নিয়ে আসা হবে| বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বহু অনাবাদী জমি রয়েছে| সেই জমি চিহ্নিত করে এবারে উন্নত জাতের এই আমের বাগান তৈরী হবে এবং বাগান দেখাশোনা করার জন্য জমির মালিককে স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের সঙ্গে যুক্ত করা হবে| বাগান দেখভাল করার জন্য তাদের এক বছর পর্যন্ত পারিশ্রমিক ও দেওয়া হবে| পরবর্তীকালে ওই বাগান থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠির সদস্যরা রোজগার করতে পারবে| আলফানসো আম বলতে মূলত মহারাষ্ট্রের রত্নগিরির নাম-ই জানি আমরা| কিন্তু আমাদের রাজ্যে এই জাতের আম হয়না| এই আমের স্বাদ, মান অনেক উন্নত মানের| দামও অনেক| তিন বছর আগে বাঁকুড়া জেলার তিনটি ব্লকে একশ দিনের কাজের প্রকল্পে তিন হাজার আলফানসো আমের চারা লাগানো হয়েছিল| সেখানে ফলন-ও যেমন ভালো হয়েছিল, তেমনি বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরিখে মান-ও ভালো ছিল| আবহাওয়ার তারতম্যের জন্য একটু স্বাদের হেরফের হয়েছিল শুধু| এবারে ৫০ হাজার আমের চারা লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে|

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...