“ছায়া লেখাপড়ায় ভাল। ভাল রেজাল্ট বাগিয়ে ক্লাসে ওঠে সে। সে পড়াকু”। —হ্যাঁ, এমনটাই জানে অধিকারী পরিবারের সকলে। আসল ঘটনা কিন্তু সেটা নয়। লেখাপড়ায় ভাল আলো। কে এই আলো? সে ছায়ার মাসতুতো বোন। মৈত্রেয়ীর অর্থাৎ ছায়ার মায়ের (বিদীপ্তা চক্রবর্তী) দিদির মেয়ে আলো। আলো বাপ-মা হারা মেয়ে। মাসির বাড়িতে সে চলে আসে। মাসির বাড়ির সকলের আদরে আহ্লাদের সেও বড় হতে থাকে ছায়ার পাশে পাশে। ছায়াও তাকে ভালবাসে খুব। আলোও বোন অন্তপ্রাণ। আলো লেখাপড়াকেই সবথেকে বেশি ভালবাসে। হাতের কাছে বই থাকলে তার আর কিছু লাগে না। সারাদিন মাসির বাড়ির লাইব্রেরিতেই সারাটা দিন কাটায় সে। ওদিকে ছায়া সাজতে গুজতে ভালবাসে। লেখাপড়াটা ঠিক আসে না তার। সারাদিন মোবাইলে মুখ গুঁজে রাখে সে। এমনই দুটি মেয়ে আলো আর ছায়া।
“এই সময়ে দাঁড়িয়ে দুটি মেয়ের দুরকমের শৈশব তুলে ধরা হবে ধারাবাহিকে।“- এমনটাই জানিয়েছেন প্রযোজক সুশান্ত দাস। গল্পের কেন্দ্রে এক রুচিশীল, সম্ভ্রান্ত, শিক্ষিত অধিকারী পরিবার। সেই পরিবারেরই মেয়ে ছায়া। আর সেখানে আসে আলো। আলো আর ছায়াকে নিয়েই এগোবে গল্প। ছায়ার লেখাপড়ার দৌরাত্ম খুব ভাল করে জেনে ফেলেছে তার শিক্ষিত বাবা অলোকেন্দু। সে নিজের মেয়ের এই অক্ষমতাকে মেনে নিতে পারে না। মেয়ের জন্য একদিন সকলের কাছে নিজেকে ছোট হতে হবে এটা ভেবেই সে দিশেহারা হয়ে পড়ে। আর এই চিন্তা লাঘব করতে অলোকেন্দু ঠিক কী কী করে সেটাই দেখার। অলোকেন্দুর দাদা বীরেন্দ্র বোধ হয় একটু বেশিই ভালবাসে আলোকে। কারণ আলো লেখাপড়া ভালবাসে। আলোর সঙ্গে কথা বলে আরাম পায় বীরেন্দ্র। কারণ তাদের কথোপকথনে থাকে শুধুই শিক্ষামূলক কথা।
রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি চরিত্র। সেগুলির মধ্যে একটি হল তনুশ্রী। এই চরিত্রে রয়েছেন সায়ন্তনী সেনগুপ্ত। সে ছায়ার কাকিমা। এই চরিত্রটিতে একটু অন্য শেড আছে। সেটা না হয় চমক হিসেবেই থাক। তবে, সায়ন্তনীর স্বামীর চরিত্রে রয়েছেন দিগন্ত বাগচি। সে ঠিক কেমন? জানতে হলে আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে হবে ধারাবাহিক ‘আলোছায়া’।
প্রযোজকের মতে, এখানে বোনে বোনে কোনও হিংসা নেই, লড়াই নেই, একে অপরকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার গল্প নেই। যা আছে তা অনেককিছুর থেকে আলাদা। আর সেটাই দেখার।
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন অনামিকা সাহা, কুশল চক্রবর্তী, সুরজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, সায়ন্তনী সেনগুপ্ত, দিগন্ত বাগচি, হিয়া দে (আলো), স্মৃতি সিং (ছায়া) সহ আরও অনেকে।