চৈত্র নবরাত্রির প্রথম দিন জাগেন আদ্যাশক্তি

হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, চৈত্র মাসের নবরাত্রি তিথিতে শুরু হয় চৈত্র নবরাত্রি উৎসব। এই উৎসব বঙ্গদেশে বাসন্তী পুজো নামে পরিচিত।

নবরাত্রি তিথি থেকে শুরু করে নয় দিন ধরে উপবাস পালন করেন ভক্তরা। দেবী দুর্গার নয়টি রূপের পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গা এক্ষেত্রে নবদুর্গা নামে পরিচিত। শৈলপুত্রী পুজোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব।

shailoputri

ব্রহ্ম পুরাণ অনুযায়ী নবরাত্রির প্রথম দিন আদ্যাশক্তি প্রকট হন। তাঁর আদেশেই ব্রহ্মা চৈত্র শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে সৃষ্টির নির্মাণ শুরু করেন। মৎস্য পুরাণ মতে, চৈত্র নবরাত্রির তৃতীয় দিন বিষ্ণু মৎস অবতার ধারণ করেন। এই নবরাত্রিতেই রামের রূপে নিজের সপ্তম অবতারে দেখা দেন বিষ্ণু।

চৈত্র নবরাত্রি উপলক্ষে সতীপীঠগুলিতেও বিশেষ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্ত ও তীর্থযাত্রী সমাগম হয়।

চৈত্র নবরাত্রি ছাড়াও চৈত্রের এই দিনটিতে মহারাষ্ট্র এবং গোয়ার মানুষ পালন করেন গুডি পরব উৎসব। ‘গুডি’ শব্দটি দিয়ে ব্রহ্মার পতাকাচিহ্ন এবং পাওয়া শব্দটি দিয়ে অর্থ চন্দ্রমাস। গোলাপী বা বাসন্তী কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় গুডি পতাকা। সোনালী-রূপোলী জরির কাজ। মাঝখানে থাকে ফুলের মালা আর কলস। শোভাযাত্রা বের হয়। শ্রীখন্ড-পুরি এই উৎসবের অন্যতম অঙ্গ। সব বারির ভোজেই দেখা যায়। ছোট-বড়দের মধ্যে চলে শুভেচ্ছা বিনিময়।

gudi pawa-1

অনুষ্ঠিত হয় উগাদি  উৎসব। গুডি পরব এবং উপাড়ির বিশেষ তফাৎ নেই। দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং কর্ণাটক রাজ্যের নববর্ষ উৎসব উগাদি । ‘উগাদি ’ শব্দটির জন্ম সংস্কৃত শব্দ ‘যুগ’ এবং ‘আদি’ থেকে। যার অর্থ যুগ শুরু। দিনটি ‘চন্দ্রমান উগাদি ’ নামেও পরিচিত।

ugadi

কৃষি উৎসব হয়। নতুন বছরের শুরুর দিনটি উৎসবমুখর করে তুলতে মানুষ নানারকম রীতি রেওয়াজ পালন করেন। নতুন জামাকাপড়, খাওয়াদাওয়া, আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা হয় এই দিনটিতে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...