Naag Panchami 2024: নাগপঞ্চমী উপলক্ষে সাপের আনাগোনায় জমে ওঠে বিহারের এই অঞ্চল

বিহারের সমস্তিপুর জেলার বিভূতিপুরের থানার অন্তর্গত সিংঘিয়া ঘাট। প্রতিবছর শ্রাবণের শুক্ল পঞ্চমী তিথিতে এই অঞ্চল হয়ে ওঠে গোটা দেশের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। নাগপঞ্চমী উপলক্ষে সাপের মেলায় মেতে ওঠে সমস্তিপুরের মানুষ। বুড়িগন্ডক নদীর তীরে এক হয়ে যায় সাপ আর মানুষ। মাথায়, কাঁধে, গলায় বেড় দেওয়া সাপের আনাগোনায় জমে ওঠে চত্বর। পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের অন্যান্য প্রান্তেও সর্পমেলা অনুষ্ঠিত হয়, কিন্তু বিহারের সমস্তিপুরের সাপের মেলা সবচেয়ে জনপ্রিয়।

বিষাক্ত থেকে নির্বিষ-সব রকম সাপ দেখা যায়। সাধারণ মানুষ থেকে সাপুড়ে সম্প্রদায়ের মানুষ সকলেই এখানে আসেন। নাগদেবতার উদ্দেশ্যে বিশেষ পুজো দেন তাঁরা। সাপের বংশবৃদ্ধির কামনা এবং সাপের প্রকোপ থেকে যাতে পরিত্রাণ মেলে চলে তারও প্রার্থনা। মনঃস্কামনা পূরণ হলে গর্তে প্রসাদ নিবেদন করেন ভক্তরা।

এই মেলা প্রথম কবে শুরু হয়ে ছিল তার কোনও নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। তবে স্থানীয় মানুষের কথা অনুযায়ী নাগপঞ্চমী উপলক্ষ্যে এই সাপের মেলা শতাব্দী প্রাচীন।

সাপ খেলুড়ে ওস্তাদরা তো বটেই শিশু-কিশোর-বৃদ্ধদেরও গলায় বিষধর সাপ নিয়ে মেলায় ঘুরতে দেখা যায়। নানারকম কসরত দেখান তাঁরা। সাপের সম্পর্কে ভয়, ভীতির বদলে তারা মানুষের বন্ধু-এই বার্তাই প্রবল ভাবে অনুরণিত এই সমস্তিপুরের এই মেলায়। বিষহরী মাতার পুজো করেন তাঁরা এদিন।

সকালবেলায় মন্দিরে পুজো দিয়ে বুড়িগণ্ডক নদীর দিকে পদযাত্রা করেন ভক্তেরা। ভক্তেরা নদীতে ঝাঁপ দেন এবং নদী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ নিয়ে জল থেকে উঠে আসেন। কেউ মুখে করে, কেউ আবার হাতে জড়িয়ে সাপ তুলে আনেন। প্রথা অনুযায়ী, ভক্তদের ইচ্ছাপূরণ হলে জঙ্গলে আবার সেই সাপগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষহরীর থানে বলি পুজোও দেওয়া হয়। বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে এই প্রথা। সময়ের পরিবর্তন হলেও এক থেকে গিয়েছে এই প্রথা।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...