এক বন্দির তুলির টানে সেজে উঠছে আরেক বন্দির ঘর। প্রকৃতপক্ষে বন্দি দুইপক্ষই। এক পক্ষ অপরাধ করে বন্দি ও আরেক পক্ষ মানুষের বিনোদনের তাগিদে বন্দি। একপক্ষ মানুষ ও অপরপক্ষ চিড়িয়াখানার জীবজন্তু। সেই দ্বিতীয়প্রকার বন্দিদের ঘর এবার সেজে উঠবে প্রথমপক্ষের হাতের জাদুতে। সংশোধনাগারে বন্দি মানুষজন এবার তাদের চিত্রকলা তুলে ধরবেন চিড়িয়াখানার দেওয়ালে। মধুবনী চিত্রকলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পশুপাখির ছবি এক মেলবন্ধন গড়ে তুলবে দুই মেরুর বন্দিদের মধ্যে। প্রেসিডেন্সি সংশোধগারে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল "উইন্টার কার্নিভাল"। সেই কার্নিভালে সংশোধনাগারের আর্ট ফোরামের বন্দিদের আঁকা ছবি থেকে শুরু করে প্লাস্টার অফ প্যারিস ও দড়ির সাহায্যে গড়ে তোলা গৌতম বুদ্ধের মূর্তি যথেষ্ট প্রশংসা অর্জন করে। বন্দিদের হাতের কাজ দেখে চিড়িয়াখানার ডেপুটি ডিরেক্টর পিয়ালি চট্টোপাধ্যায় প্রস্তাব দেন বন্দিদের হাতের কাজে চিড়িয়াখানা রাঙিয়ে তোলার। চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, ডেপুটি ডিরেক্টর এই প্রস্তাবটি দিয়েছেন কিন্তু এই নিয়ে এখনো কোনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নতুন এই প্রস্তাবের মাধ্যমে এক সামাজিক বার্তা দিতে চাইছেন চিড়িয়াখানা কতৃপক্ষ। কয়েকবছর আগেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে এই আর্ট ফোরামতির সূচনা হয়। শিক্ষক আশিস দাসের অধীনে থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন বন্দি এখানে অঙ্কন প্রশিক্ষণ নেয়। আশিসবাবু জানান, অতীত আঁকড়ে ধরে থেকে লাভ নেই। তার থেকে তার ছাত্রদের আঁকা যদি দিগন্ত বিস্তৃত হয় তাহলে শিক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হবে তারই।