বর্তমান যুগ বড়ই গতিময়। সর্বক্ষণ ছোটাছুটি, দৌড়ঝাঁপে যেন আজ আমরা পাল্লা দিই একে অপরকে। কিন্তু এই গতিময়তার যুগেও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আর তাই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় মানুষকে সাবধান হতে বলছেন আলিপুর সর্বজনীন ক্লাব। কিন্তু কেন? তার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে দেবীপক্ষের শুভক্ষণ পর্যন্ত।
‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’ এর পুজোর আড্ডায় জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিল আলিপুর সর্বজনীন ক্লাবের সদস্যরা। সঞ্চালক মৌমিতার সাথে নিজেদের পুজো নিয়ে আড্ডায় মাতলেন ক্লাবের মিডিয়া ও জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক ভট্টাচার্য ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রাজা হালদার। আলিপুর সর্বজনীন কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি হল্ট, প্যান্ডেল হপার্সদের জন্য। বিশিষ্ট থিম মেকার শক্তি শর্মার সৃজনশীলতায় নিজেদের ৭৪তম বর্ষে শহরবাসীকে এক আলাদা চমক দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে আলিপুর সর্বজনীন। বেশিরভাগ ক্লাব যেখানে কেবলমাত্র দুর্গাপুজোয় সামাজিক কাজকর্মে নিজেদের জড়ায়, সেখানে আলিপুর সর্বজনীন বছরের ৩৬৫ দিন জড়িয়ে থাকে পাড়ার মানুষদের কল্যাণে। এই বছর দ্বিতীয়ায় উদ্বোধন হবে আলিপুর সর্বজনীন-এর দুর্গাপুজোর।
আর দুর্গাপুজোয় ভোগ তো একেবারে মাস্ট। অষ্টমীতে খিচুরি-আলুরদম-চাটনি-পায়েস দিয়ে শহরবাসীকে নিজেদের মন্ডপে স্বাগত জানাবে আলিপুর সর্বজনীনের সদস্যরা। আর বিসর্জনে মহিলাদের সিঁদুরখেলায় মাতেন পুরুষ ও শিশুরাও। পাশাপাশি বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের জন্য এবং কোনও গুরুতর পরিস্থিতি সামাল দিতে তৈরি থাকবে প্রায় ১৫০০ জন ভলেন্টিয়ার। বিভিন্ন বাড়িতে রাখা থাকবে জলের ট্যাঙ্ক, যা কোনও ‘এমারজেন্সি’ পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ লাগবে। তো সবমিলিয়ে, আসতেই হবে একবার আলিপুর সর্বজনীনে। দমদম কিংবা কবি সুভাষগামী মেট্রোয় উঠে নামতে হবে কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে। চেতলা যাওয়া মেট্রো গেট দিয়ে উঠে কিছুটা হাটলেই আপনি পৌছে যাবেন আলিপুর সর্বজনীন-এর পুজো মন্ডপে।