গরম গরম ধোঁয়া ওঠা কচুরি, কার না ভালো লাগে বলুন তো! আমাদের কলকাতা শহরেই রয়েছে বেশ কিছু প্রসিদ্ধ কচুরির দোকান। সেসব দোকানে দিনের যে সময়ই যাওয়া হোক না কেন, ঠাঁই পাওয়া মুশকিল। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের মুকেশ কুমারের রয়েছে সেরকমই এক কচুরির দোকান। তাঁর কচুরির দোকানেও উপচে পড়ে ভিড়। ভিড় তো অনেক দোকানেই হয়, কিন্তু শেষপর্যন্ত একটা কচুরিরই তো দোকান, কোনও বড়সড় রেস্তোরাঁ তো নয়! কচুরি বেচে আর কতই বা আয় করা যায়?
এই ধরনের চিন্তাভাবনা করে থাকলে, এক্ষুণি তা সরিয়ে ফেলুন। কারণ আলিগড়ের ঐ কচুরি বিক্রেতা বছরে যা আয় করেন তা জানলে আপনারও চক্ষু উঠবে চড়ক গাছে। আজ্ঞে হ্যাঁ, সম্প্রতি আলিগড়ের মুকেশ কুমারের কচুরি দোকানের উপর নজরে পড়ে বাণিজ্যিক আয়কর দপ্তরের। সেই দোকানের গরম গরম সুস্বাদু কচুরির প্রচুর সুখ্যাতি রয়েছে। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপচে পড়া ক্রেতাদের ভিড়েই আলাদা করে চেনা যায় সেই দোকান।
কিন্তু হঠাৎ কচুরির দোকানের দিকে কেন নজর গেল আয়কর দপ্তরের? কারণ জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র কচুরি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আয় করা সত্ত্বেও দোকানের মালিক মুকেশ কুমার কোনও কর জমা দেন না।
সম্প্রতি তল্লাশি অভিযান চলে ওই দোকানে। অভিযান চালায় আলিগড়ের বাণিজ্যিক আয়কর দপ্তরের ‘স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং ব্রাঞ্চ’। তখনই প্রকাশ্যে আসে যে ঘিঞ্জি গলিতে ছোট্ট ওই কচুরির দোকানের মালিক আসলে 'কোটিপতি'। অভিযোগ উঠেছে, তার কোনো জিএসটি রেজিস্ট্রেশন পর্যন্ত নেই।
(এই সেই কচুরির দোকান)
দোকানের নাম ‘মুকেশ কচুরি’। আলিগড়ের সীমা সিনেমাহলের কাছে রয়েছে বিখ্যাত ওই দোকান। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তার দোকানের পুরির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। সকাল থেকে দোকানে গরম গরম কচুরি আর সিঙাড়া বিক্রি শুরু হয়। স্থানীয় কিছু দোকানদারের মতে, রাত হয়ে গেলেও ক্রেতাদের লাইন শেষ হয় না।
তবে মুকেশের কথায়, আমার দোকানের বয়স ১২ বছর। কেউ আমাকে কোনোদিন বলেন নি এইরকম কোনো আইন আছে। আমরা সাধারণ মানুষ, কচুরি আর সিঙাড়া বিক্রি করে সংসার চালাই।
কমার্শিয়াল ট্যাক্স বিভাগের ডেপুটি কমিশনার রবীন্দ্র পাল জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে দোকানটির ওপর নজর রাখা হয়েছিল। তারপর ২১ জুন সার্চ ওয়ারেন্ট বের করে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সে সময়ই মুকেশের আয়ের কথা জানতে পারি আমরা।