সত্যজিৎ রায় লিখেছিলেন ‘বঙ্কু বাবুর বন্ধু’। গল্পের কাহিনী বন্ধুদের কাছে বারবার উপহাসের পাত্র হওয়া বঙ্কুবাবু এবং এক ভিনগ্রহীকে নিয়ে। স্টিফেন স্পিলবার্গ- এর সিনেমা ‘ইটি’ও বাইরের দুনিয়ার অতিথিকে নিয়েই।
সৌর জগতের অন্য গ্রহে পৃথিবীর মতোই প্রাণের বাস- এমন ভাবনা ভাবতে অনেকেই ভালোবাসেন।
ভিনগ্রহে প্রাণের উৎস সন্ধানে বহু যুগ ধরে নাসা খোঁজ চালিয়ে আসছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বলার মতো সাফল্য আসেনি।
২০১৭ সালে এক প্রাক্তন পেন্টাগন আধিকারিকের নেতৃত্বে একটি গবেষণা চালানো হয়। তাতে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়, তাতে বলা হয় ‘এলিয়ন অর্থাৎ ভিনগ্রহের প্রাণীদের যে অস্তিত্ব আছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
এবার এমন দাবী তুললেন ব্রিটেনের প্রথম মহাকাশচারী। হেলেন শারম্যান যিনি ১৯৯১ সালে সোভিয়েত মির স্পেস স্টেশনের হয়ে মহাকাশে গিয়েছিলেন।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, ‘ এলিয়ান আছে। আর সেটা নিয়ে কোনও দ্বিমত থাকতে পারে না’।
তিনি জানিয়েছেন, ‘ হতেই পারে তাঁরা পৃথিবীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযো গ রাখে। কিন্তু আমরাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারিনা’।
তিনি বলেন, সৌরমন্ডলে অসংখ্য গ্রহ-নক্ষত্র আছে। হতেই পারে তাদের মধ্যে কোনটাতে প্রাণের সাড়া আছে। যার সন্ধান এখনও সৌরবিজ্ঞানীরা সন্ধান করে উঠতে পারেনি।
ব্রিটিশ মহাকাশচারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম মহাকাশযানে পাড়ি দেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন।
শারম্যান নিজে এলিয়েন চাক্ষুস করেছে এমন দাবীও করেছেন। তিনি বলেছেন, সামনে থেকে ভিনগ্রহীদের দেখার অভিজ্ঞতা কখনও ভোলার নয়।
তাঁর মতে ভিনগ্রহ থেকে আগত অতিথিরা অনেকটাই ‘ছায়ার মতো’। অশীরীরি নয়, কিন্তু বায়বীয়। বায়োকেমিস্ট্রির একেবারে অন্যধারায় হয়ত যার ব্যাখ্যা সম্ভব। তাদের দেহ গঠিত হয়েছে সিলিকন দিয়ে।