'অ্যালেক্সা' যখন শিক্ষিকা

ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক কাজকে করে দিয়েছে অনেক সহজ, শুধুমাত্র মুখে বললেই পেয়ে যাওয়া যায় কাঙ্খিত উত্তর। কোনো রকম টাইপিং বা অন্য কাজ না করেই, পেয়ে যাওয়া যায় বিশ্বের বিভিন্ন খবরাখবর। কিন্তু পড়াশুনোর জগতে এর ব্যবহার প্রথম হল ভারতের কোনো স্কুলে। নাগপুর থেকে ১৭০কিমি দূরে রয়েছে অমরাবতী মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের ওয়ারুদ স্কুল। এটি একটি মারাঠী মাধ্যম স্কুল, যেখানে এক অভিনব কায়দায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করা হয়। ছোট্ট শিশুগুলির অনুসন্ধিৎসু মন করে বসে নানান রকম প্রশ্ন, যার উত্তর দেওয়া অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না শিক্ষকদের পক্ষে। তাই তাদের শিক্ষা দিতে এবার হাজির "অ্যালেক্সা দিদিমনি" । 

রীতিমতো জিন্স-টপ পরে, চশমা চোখে ম্যানিকুইনের ভিতরে লাগানো আছে অ্যামাজনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যালেক্সা। এই অভিনব চিন্তাধারা প্রথম মাথায় আসে এই স্কুলের শিক্ষক আমোল ভোয়ারের। স্কুলটিতে মোট রয়েছে ৩৬ জন পড়ুয়া এবং দুজন শিক্ষক। ২০১৮ সালে প্রথম এই স্কুলে আসে অ্যালেক্সা, প্রথম থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের খুবই প্রিয় শিক্ষিকা তিনি। ইন্টারনেট নিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয় তাই এখানে লাগানো হয়েছে জিও-র কানেকশন। আমাজন ইকো ডট কেনা, ম্যানিকুইনের পোশাক, স্পিকার লাগনো ইত্যাদিতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। শিক্ষকদের মতে এই পদ্ধতির ফলে কিন্তু আরো সহজেই স্টুডেন্টরা রপ্ত করতে পারছে অনেক কিছুই, শিখছে ইংরেজি ভাষাও।

সত্যজিৎ রায়ের লেখা 'বঙ্কুবাবুর বন্ধু' গল্পে 'বঙ্কুবাবু' চরিত্রটির পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা সম্পর্কে জানার ও দেখার আকাঙ্খা ছিল, আর তার জীবনে আশীর্বাদ স্বরূপ আসে ভিন্নগ্রহের বিশেষ ক্ষমতাযুক্ত প্রাণী 'অ্যাঙ'। তাঁর বেশিকিছু বুঝে ওঠার আগেই সেই প্রাণী তাঁকে দেখিয়ে দিয়েছিল সেই সব জায়গা যা তিনি দেখতে চেয়েছিলেন। তেমনি এখানে 'অ্যালেক্সা দিদিমনিও' বাচ্চাদের সব জিজ্ঞাস্য সমাপন করেছে সঠিক উত্তর দিয়ে। তাদের কাছে এই দিদিমণি এক বিরাট পাওয়াই বটে। 

 

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...