তার জন্ম পাকিস্তানে।অলরাউন্ডার হিসাবে দেশের বিভিন্ন ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেললেও, জাতীয় দলে কোনও দিনই তেমন ভাবে ডাক আসেনি তার। তিনি ছিলেন একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও লেগ ব্রেক বোলার। খেলতেন পাকিস্তান রেলওয়ে ও লাহরের অ্যালাইড ব্যাঙ্কের হয়ে।
তিনি আলিম দার। ক্রিকেটে হয়ত আম্পায়ার প্রচুর আছে কিন্তু তিনি তাদের মধ্যে একজন যাদের আইসিস-র দ্বারা বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনা করার ছাড়পত্র আছে। তবে এসবের বাইরেও সম্প্রতি একটি নয়া রেকর্ডের অধিকারী হয়েছেন তিনি। ১২৯টি টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং করে ছাপিয়ে গেলেন ১২৮ টি টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করা স্টিভ বকনারের রেকর্ড-কে। সদ্য শুরু হওয়া অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ডের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি তার ১২৯তম ম্যাচ।
২০০০ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী, গুজরানওয়ালায় আয়োজিত পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কার ওডিআই ম্যাচে আম্পায়ারিং-এ অভিষেক ঘটে তার। তার পর থেকে আইসিসি অধীনস্থ সকল আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাকাপাকি জায়গা করে নেন তিনি। ২০০৪ সালে আইসিসি-র বাছাই করা আম্পায়ারদের সংস্থা ‘এলিট প্যানেল অফ আম্পায়ার্স’ – এর অন্যতম সদস্য হয়ে ওঠেন তিনি। মারায়য়াস ইব়্যাসমাস, রিচার্ড কেটেলবরো, কুমার ধর্মসেনা ও সাইমন টফেল-এর পাশাপশি নাম ওঠে তারও। ২০০৯ সাল থেকে ২০১১, টানা তিন বছর ধরে ড্যাভিড শেফহার্ড ট্রফি জেতেন তিনি। ২০০৫ ও ২০০৬ সালে আইসিসি-র ‘আম্পায়ার অফ দি ইয়ার’-এ মনোনীত হলেও, প্রত্যেকবার সাইমন টফেলের কাছে হারতে হয় তাকে।ক্রিকেট আম্পায়ারিং-এ পাকিস্তানের মুখ উজ্জ্বল করার জন্য ২০১০ সালের ১৪ই আগস্ট পাকিস্তান সরকারের তরফ থেকে তাকে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার ও দেওয়া হয়।