অক্ষয় তৃতীয়া ২০২৪ কবে?

বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে অক্ষয় তৃতীয়া পুজো হয়। এই দিনটি অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। এ বছর বাংলার ২৭ বৈশাখ, ইংরেজির ১০ মে অক্ষয় তৃতীয়া তিথি।

দেবপ্রতিষ্ঠা, বিবাহ, গৃহপ্রবেশ, সম্পত্তি ক্রয়, গৃহনির্মাণ, পিতৃপুরুষের পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম ও তর্পণ প্রভৃতি নানা ধরনের শুভ কাজের ক্ষেত্রে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনটির কোনও বিকল্প নেই। মনে করা হয় অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই নতুন যুগের সূচনা হয়।

দিনটির পৌরাণিক মাহাত্ম্য অপরিসীম। মনে করা হয়, এই তিথিতেই ত্রেতা যুগ শেষ হয়ে, দ্বাপর যুগ শুরু হয়েছিল। এই দিনেই তপস্যার করে গঙ্গাকে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলেন ভগীরথ। কৃষিপ্রধান দেশ ভারতে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনটিতে ধরিত্রীদেবীর পুজো করা হয়। অক্ষয় তৃতীয়া তিথিটিকে পরশুরাম জয়ন্তী হিসেবে পালন করা হয়। মনে করা হয়, বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম এদিনেই জন্মেছিলেন। 

অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেই মহর্ষি কৃষ্ণদৈপায়ণ বেদব্যাসের মুখনিঃসৃত বাণী মহাভারত আকারে লিপিবদ্ধ করতে আরম্ভ করেন গণেশ।

অক্ষয় তৃতীয়ার দিন হস্তিনাপুরের রাজসভায় দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের চেষ্টা করেছিলেন দুঃশাসন। দ্রৌপদীর প্রার্থনায় শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে বস্ত্র দান করেছিলেন। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বৈভবলক্ষ্মীর পুজো হয়। কুবেরের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে মহাদেব এই তিথিতেই তাঁকে অসীম ধন ও ঐশ্বর্য প্রদান করেন। তাই মনে করা হয়, এই দিন কিছু প্রার্থনা করলে তা অক্ষয় হয়। আর তিথিটি যেহেতু তৃতীয়, তাই দুয়ে মিলে অক্ষয় তৃতীয়া। অক্ষয় শব্দের অর্থ যার কোনও ক্ষয় নেই। এই তৃতীয়া তিথি ক্ষয়হীন। অর্থাৎ যার ফল কখনও নষ্ট হয় না। অক্ষয় তৃতীয়াতেই পুরীতে জগন্নাথের রথযাত্রার রথ নির্মাণ শুরু হয়। অক্ষয় তৃতীয়ায় পুরীধামে জগন্নাথদেবের ২১ দিনব্যাপী চন্দনযাত্রার শুরু।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...