নজর কাড়ছে 'একে ৪৭ রাইফেল'

সামনে দোল। আর এই রঙের উৎসবে মেতে উঠছে কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বড়রাও। তাই রঙের উৎসবে মোট ৮০ রকমের পিচকারি বড়বাজারে ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। জানা গিয়েছে যে গত বছর রঙের উৎসবে মোট ৬৫ রকমের পিচকারি বড়বাজারে বিক্রি হয়েছিল। আর এই বছর সেই সংখ্যা বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৮০ র উপরে। ১০ থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন মূল্যের পিচকারি বড়বাজারের ওল্ড চীনা বাজার স্ট্রিট সহ আশপাশ এলাকায় বেশ বিক্রি হচ্ছে। তবে এই পিচকারির রকমের মধ্যে রয়েছে -পিস্তল, এ কে ৪৭ রাইফেল, সেতার, ফুলদানি, ট্যাংকার, বীণা, ফুলদানি সহ বিভিন্ন সুদৃশ্য মূর্তির আদলে তৈরি পিচকারি। জানা গিয়েছে যে, নতুন প্রজন্মের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বেশি পছন্দ করছে বন্দুক, রাইফেল, এ কে ৪৭ রাইফেলের ধাঁচে তৈরি পিচকারি। তারপরই বেশি চাহিদা বীণা ও সেতারের আদলে পিচকারির।

    শুধু আধুনিক ধাঁচের পিচকারিই নয় এর পাশাপাশি কিন্তু বেশ চাহিদা আছে আগেকার পিতলের তৈরি পিচকারিরও। এখনো সেই পুরাতন পিতলের পিচকারির বর্ণময় রঙে রেঙে ওঠে বৃন্দাবন, নবদ্বীপ, শান্তিনিকেতন সহ কলকাতার বনেদি বাড়িগুলির মাটি। আর এই সমস্ত পিচকারির দাম ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কোথাও কোথাও তার থেকেও বেশি। সব মিলিয়ে বেশ জমজমাট রঙের বাজার। বাজারে এবার যেমন বাহারি পিচকারির রকমারি সমাহার, তেমনি রয়েছে নানা রঙের মেলা। জানা গিয়েছে ৩৫ রকমের রং বিক্রি হচ্ছে বাজারে। দাম ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকা কেজি পর্যন্ত। যেমন রঙের গুণাগুণ, তেমন তার দাম। দামি রঙের মধ্যে সব থেকে বেশি চাহিদা গোলাপি, সবুজ এবং রূপালি রঙের। কোথাও কোথাও ওই সমস্ত রং ভরি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আবিরের বাজার তো রীতিমতো চাঙ্গা। ৬০ থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে আবির বিক্রি হচ্ছে। তবে এ কে ৪৭ রাইফেল পিচকারি ইতিমধ্যে বেশ নজর কাড়ছে বাজারে। সব মিলিয়ে রঙের বাজার বেশ জমে উঠেছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...