পটের বুকে তুলির টানে 'ঐতিহ্য বেঁচে থাকুক'

বাংলা সমৃদ্ধ লৌকিক শিল্পকলায়। গ্রাম বাংলার আনাচে-কানাচে, উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিমে ছড়িয়ে আছে নানা ধরনের লোক শিল্পকলার চর্চা। নামে ‘লোকশিল্প’ হলেও আসলে আন্তর্জাতিক মানের। শিল্পীরা বংশপরম্পরায় ধরে রেখেছেন শিল্পের চর্চা। এমনি এক শিল্প বাংলার পটশিল্প। বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতির ধারক বাহক।

পুরাণ, ইতিহাস, মহাকাব্যের কাহিনি থেকে দৈনন্দিন জীবনের নানা ঘটনা উঠে আসে পটশিল্পের বিষয় হিসেবে। গোটা বিশ্বের শিল্প রসিকদের কাছে পটশিল্প অত্যন্ত আদরের।  কিন্তু সময়ের অভিঘাতে পটশিল্প আজ বিপন্ন। 

FotoJet - 2022-09-09T193514.257

বাংলার এই প্রাচীন ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে দক্ষিণ কলকাতার 'ভবানীপুর ৭৫ পল্লী' দুর্গোৎসবের এবারের পুজো থিম 'ঐতিহ্য বেঁচে থাকুক'। ভাবনায় শিল্পী সুশান্ত পাল।     'ভবানীপুর ৭৫ পল্লী'র পুজো এবার ৫৮তম বর্ষে পড়ল।

বাংলার বিভিন্ন লৌকিক আচার, পুজোপার্বণে পটচিত্রের প্রচলন আছে। দেবী প্রতিমার পটচিত্র পুজো করার প্রথা আছে। পটচিত্রশৈলী বংশানুক্রমিক। এই শৈলী পরিবারের এক পুরুষ থেকে আর পুরুষে বর্তায়। থমি ভাবনায় লালন এসেছেন। তিনি ধর্মীয় সম্প্রীতির মুখ। তাঁর কাছে ঈশ্বর-আল্লা সমান। পট শিল্পকে রক্ষা করতে তিনি নতুন সৃষ্টিতে মন মেতে ওঠেন। পটের ছবি নিয়ে গাঁ থেকে শহরে হঁটে যান। জনে জনে শোনান পটের কথা। লালনের পথেই ফের প্রাণ ফিরে পায় পটশিল্প।

ইউনেস্কো এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র-কুটিরশিল্প ও বস্ত্র মন্ত্রকের উদ্যোগে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় পটচিত্র শিল্প কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।

ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর পক্ষ থেকে সায়ন দেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 

ইউনেস্কো বাংলার দুর্গাপুজোকে ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই দুর্গা পুজোর উদযাপনের পাশাপাশি বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে তাঁদের আয়োজনে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা এবং নয়াগ্রাম থেকে শিল্পীরা আসবেন। শিল্প প্রদর্শন করবেন এবং প্রদশর্নীও অনুষ্ঠিত হবে।

মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন এবং সকল শিল্পীদের মধ্যে অন্তত কয়েকজনকে সাহায্য করার জন্য তারা সাধ্যমত চেষ্টা করার বার্তা দিয়েছেন।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...