বিমানবন্দরে অপরাধ আটকাতে যাত্রীদের আচরন পর্যবেক্ষণ করা হবে। সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিওরিটি ব্যুরো এবার থেকে নজর রাখবে বিমানবন্দরে যাত্রীদের আচরণের ওপর। অফিসারদের এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটাই নিরাপত্তা এজেন্সি দেখবে। পঞ্চাশ জন বিশেষজ্ঞ আধিকারিককে নিয়ে এই এজেন্সি গঠন করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তাদের চার মাসের ট্রেনিং সেশন চলবে।
গত সপ্তাহে গোয়ায় বিমানবন্দর নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাতেই যাত্রীদের আচরন পর্যবেক্ষণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। অ্যান্টি-সাবোটাজ টেকনিক মডিউলে স্নিফার ডগ ট্রেনিং-এর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নজরদারি শুধু ক্যামেরা নির্ভর নয়। যাত্রীদের মানসিকতা বুঝতে তাদের সঙ্গে মেশা, কথা বলাও চলবে আধিকারিকদের। যাত্রীদের আচরন, অভিব্যাক্তিতে রাগ, ভয়, অবসাদের মত সমস্যাগুলোও ‘অবজার্ভ’ করবেন তাঁরা।
বিমান বন্দরের চেক পয়েন্ট থেকেই শুরু হবে নজরদারি। স্ক্রিনিং অফ প্যাসেঞ্জার বাই অবজারভেশন টেকনিক সংক্ষেপে স্পট পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে গোটা ব্যবস্থাটি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরগুলিতেও এই পদ্ধতি অনুসরন করা হয়। ব্রিটেনের হিথরো বিমানবন্দরেও এ ধরণের ব্যবস্থা চালু আছে। পাচারের অপরাধ আটকাতে এ ধরণের নজরদারী ব্যবস্থা অন্যান্য দেশে যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে।