রসগোল্লার পর জামদানী

গত বছর রসগোল্লার জিআই তকমা প্রাপ্তি বাংলার অন্যতম প্রাপ্তি ছিল। এই জিআই হল 'জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস'। কোনো এলাকা বা অঞ্চলে যদি কোনও বিশেষ পণ্য তৈরী হয়, তাহলে তাকে বিশ্বের বাজারে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার নামই জি আই। গত বছর মোট ন'টি পণ্যে জিআই পেয়েছিল বাংলা। ওই স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে সেরা ছিল পশ্চিমবঙ্গ। তবে রসগোল্লার জিআই প্রাপ্তিই সাধারণ মানুষের খুব কাছাকাছি নিয়ে এসেছিল প্রক্রিয়াটিকে। এ বছর শুরু থেকে না পারলেও বছর শেষে নড়েচড়ে বসেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর। এবারে তাদের বাজি মূলত জামদানী শাড়ি। এছাড়াও আছে দু'রকম চাল এবং টাঙ্গাইল শাড়ি। এই টাঙ্গাইল বাংলাদেশের থেকে বিশেষত্বের দিক থেকে একটু আলাদা। বছরের পুরো সময়টাই কেটে যাওয়ার পেছনে যুক্তি হল, প্রশাসনিক জটিলতা ও গবেষণার অভাব। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের কর্তাদের মতে কোনো একটি পণ্যকে যদি জিআই স্বীকৃতির জন্য পাঠানো হয়, তাহলে আগে নিশ্চিত হতে হয়, সেই জিনিসটির দাবিদার অন্য কোনো রাজ্য বা অঞ্চল আছে কি না। তার সঙ্গে নানা প্রমাণও জোগাড় করতে হয়, যাতে বোঝা যায় সেটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের দ্রব্য। সেই কাজটিই এখন চলছে বলে জানিয়েছেন দফতরের কর্তারা।

    বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনো উৎকৃষ্ট মানের আঞ্চলিক দ্রব্য বা পণ্য যদি সেই এলাকার নিজস্ব দ্রব্য হয়, তাহলে তা জিআই তকমা পেতে পারে। জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার মূল লক্ষ্য হয় বিদেশের বাজার পাওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বিভিন্ন রাজ্য তাদের নিজেদের বিশেষ পণ্যকে তুলে ধরে। গত বছর রসগোল্লা ছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডির কাঠের মুখোশ, পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ, বাঁকুড়ার টেরাকোটার মত আমাদের বিশেষ পরিচিত মোট আটটি জিনিস জিআই স্বীকৃতি পেয়েছিল। এ বছরও বেশ কিছু পণ্যে জিআই স্বীকৃতি পাবে বলে আশা করছে বিজ্ঞানপ্রযুক্তি দফতর

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...