দুটি মেয়েই বুঝতে পারে একটি মেয়ের হাইজিনের প্রয়োজনীয়তা...কথাটা যে সত্যি তা প্রমান করে দিল আইআইটি’র দুটি ছাত্রী| একজন আইআইটি গোয়া’র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী দেব্যানি মালাদকার আর অপরজন হলো আইআইটি বম্বে’র তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ঐশ্বর্য আগরওয়াল| তাঁরা পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার কথা মাথায় রেখে এমন একটি যন্ত্র বানিয়েছেন যা স্যানিটারি ন্যাপকিন কে পরিষ্কার করে পুনর্ব্যাবহারযোগ্য করবে, আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই যন্ত্রটি খুব কম মূল্যে সহজলভ্য| যন্ত্রটির নাম ‘ক্লিনস রাইট’, যার দাম হবে প্রায় ১,৫০০ টাকা|
আইআইটি-বম্বের ইলেক্ট্রিকাল বিভাগের ছাত্রী ঐশ্বর্য আগারওয়াল জানিয়েছেন, ঋতুস্রাবকালে মহিলাদের এই ডিস্পোজেবেল স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করার জন্য সচেতনতাভিত্তিক প্রচার যথেষ্ট সাফল্য লাভ করেছে। যা তাঁদের স্বাস্থ্য ও হাইজিন সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়বে| এই স্যানিটারি ন্যাপকিনগুলি নন-বায়োডেগ্রেডেবল প্লাস্টিকের তৈরি এবং এই সমস্ত বায়োমেডিকাল বর্জ্য পদার্থগুলি স্থলভাগে জমা হয়| তিনি আরো জানান, প্রায় ৩,৫৫০ লক্ষ মহিলারা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের ফলে প্রচুর পরিমানে বর্জ্য ভূপৃষ্ঠে দূষণ সৃষ্টি করে। আর ৫০০ থেকে ৮০০ বছর সময় লেগে যায় একটি সিন্থেটিক স্যানিটারি প্যাড ক্ষয় হতে|
এই আবিষ্কারের ফলে বায়োমেডিকাল ওয়েস্ট বা আবর্জনা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে| সব মহিলারা যদি এই যন্ত্র ব্যবহার করে তাহলে আমাদের পরিবেশ থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন সংক্রান্ত সব বর্জ্য পদার্থ দূরীকরণ করা সম্ভব হবে| কিন্তু সবার পক্ষে দামী ডিভাইস ব্যবহার করা সম্ভবপর হয় না| তাই এই উদ্যোগ...
সূত্রের খবর, এই যন্ত্রটি চালাতে বিদ্যুতের প্রয়োজন নেই, একটি জলে ভর্তি চেম্বারের মধ্যে একটি প্যাডাল-চালিত প্ল্যাঙ্গার আপ-ডাউন করে কাজ করবে|
আইআইটি-গোয়ার ছাত্রী দেব্যানি মালাদকার জানিয়েছেন, এই যন্ত্রে প্ল্যাঙ্গারটি প্যাডগুলিকে জলে ধুয়ে এর থেকে বর্জ্য রক্ত বের করে পরিষ্কার করবে, এবং এটি খুব কম দামে ডিজাইন করা হয়েছে|
এই দুই ছাত্রী আইআইটি-গান্ধীনগরে তাঁদের গ্রীষ্মকালীন ৬ সপ্তাহের প্রোগ্রামে এই যন্ত্রটি প্রদর্শন করেন “ইনভেন্ট@আইআইটিজিএন”(“Invent@IITGN”)-এ| এটি একটি ইউএস প্রোগ্রাম “ইনভেনশন ফ্যাক্টরি”-এর ওপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে বলে জানা যায়|