দক্ষিণ কলকাতার পুজো মানেই থিম পুজো, এমনটাই ধরে নিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এই দক্ষিণ কলকাতাতেও এমন কিছু পুজো রয়েছে যা সামনে আনে ঐতিহ্যকে, যা তুলে ধরে সাবেকিয়ানাকে। আর তারই এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল আদি বালিগঞ্জ সার্বজনীন দুর্গাপুজো পরিষদ।
‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় কলকাতা থেকে অসংখ্য ক্লাব নিজেদের পুজো নিয়ে কথা বলেই যায়। আর সেরকমই হাজির হয়েছিল আদি বালিগঞ্জ সার্বজনীন দুর্গাপুজো পরিষদ। সঞ্চালক সিঞ্চিতার সাথে নিজেদের পুজো নিয়ে কথা বললেন পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইন্দ্রনীল ও অভিরুপ রায় চৌধুরি এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক পিয়ালী মিত্র।
থিমের পুজোর ভিড়েও যে ঐতিহ্যপূর্ণ সাবেকিয়ানাকে অসাধারণভাবে ধরে রাখা যায় তা বছর বছর প্রমাণ দিয়ে চলেছে আদি বালিগঞ্জ সার্বজনীন দুর্গাপুজো পরিষদ। আর এই বছর ৯৩তম বর্ষে এসেও তারা তাদের ধারা পাল্টাবে না। প্রতিমাও যথারীতি নিয়ম মেনে সাবেকি ও একচালায় তৈরি হচ্ছে। মহালয়ার দিন দেবীর প্রতিমাকে আনা হবে পুজো মন্ডপে।
এরপর ১ অক্টোবর থেকে চলবে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। থাকবে নাচ, গান, প্রতিযোগীতা, এমনকি থাকবে খাওয়াদাওয়াও। সপ্তমীতে খিচুরি ভোগ, অষ্টমীতে পোলাও সহ অন্নভোগ এবং নবমীতে একেবারে বাঙালির প্রিয় মাংস ভাত খাওয়ানো হবে পাড়ার প্রতিটি মানুষকে।
তাই আসতেই হচ্ছে আদি বালিগঞ্জ সার্বজনীন দুর্গাপুজো পরিষদের পুজোয়। শিয়ালদহ থেকে দক্ষিণ শাখার ট্রেন ধরে আসতে হবে বালিগঞ্জ জংশনে। সেখান থেকে কিছুটা হাটলেই পৌছে যাবেন তাদের সাবেকি মন্ডপে।