তেলেভাজার ব্যাপারে বাঙালি কোথাও কোথাও কাঙালীর মতো ব্যবহার করে, এ একেবারে applied truth। হালকা ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে, আলতো ঠান্ডার আদুরে কামড়ে, চুল খাড়া করে দেওয়া গরমে, চা-এর কাপের উষ্ণতায়, গঙ্গার ধারের বাতাসে, মুড়ির কামাল করে দেওয়া যুগলবন্দীতে তেলেভাজার অনিবার্য উপস্থিতি একেবারে newton's law এর মতোই প্রমাণিত সত্য। বাঙালীর রাজদ্বারে,শ্মশানে, বিলাসে,ব্যসনে তেলেভাজা is must।
নিটোল বেসনের মোড়কে প্রেম বিলনো পুরের অভিঘাতে তেলেভাজা কখনো আলুর চপ, কখনো কাশ্মীরি চপ, কখনো বা ডালবড়া, আবার কখনো বেগুনি বা পেঁয়াজি অথবা ফুলুরি। আজও প্রধানত উত্তর কলকাতায় প্রতি 100 মিটারের মধ্যে একটা না একটা তেলেভাজার দোকান খুঁজে পাওয়া যাবে এবং আশ্চর্যের বিষয় এই যে, প্রত্যেকটি দোকানই পেটবিলাসি পাবলিকদের কৃপায় দিব্যি চলছে।
Triglycerides-কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, deep fried তেলেভাজার জয়রথ হুড়মুড়িয়ে এগোচ্ছে এবং এগোতেও থাকবে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। ৫ থেকে ১০ টাকার ভিতরে এত অপূর্ব মুখরোচক বিষয় পাওয়া বিনা অক্সিজেনে মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানের মতোই অসম্ভব ঘটনা। আজও বহু মানুষের প্রিয় ও প্রধান snacks হলো তেলেভাজা।
ফরিয়াপুকুরের পার্বতী, রংমহলের উল্টোদিকে লক্ষীনারায়ণ, বাগবাজারের পটলার দোকানের তেলেভাজা রসিক মানুষের কাছে বিরিয়ানির চেয়ে কমকিছু লোভনীয় নয়। তেমন তেমন সময় যদি যাওয়া যায়, waiting line এ প্রায় 20 মিনিট দাঁড়িয়ে থাকাও রেগুলার practice এর ব্যাপার। সোনালী তেলের ভিতর যখন বেসনের বস্তুরা ফুলে ওঠে, হালকা লালচে হয়ে জিভে জল ছড়ায়, যখন ঝাঁজরি হাতা করে গাদা গাদা চপ বেতের ঝুড়ির ওপর রাখা হয় তেল ঝরানোর জন্য, তখন ঈশ্বর স্বয়ং যেন পৃথিবীতে নেমে আসেন খানিকক্ষনের জন্য।
গরম চপের ওপর নেমে আসে অমোঘ কামড়,ফুস করে ধোঁয়া বেরিয়ে welcome জানায় হালকা করে।
Addicted তেলেভাজা খানেওলা গন্ডায় গন্ডায় ছড়িয়ে আছে অলিতে গলিতে,পাড়ায়-বেপাড়ায়। তেমন তেমন তেলেভাজা প্রেমীদের রক্তে মিশে গেছে তেল। বাঙালির অন্যতম মুখোরোচক এই খাবারটি স্বমহিমায় জিন্দাবাদ থাকুক আমাদের জিভেতে, আমাদের খিদেতে।।