শওকত আজমি। নিজেকে তিনি পরিচয় দিতেন শওকত কাইফি নামে। মঞ্চ থেকে বেতার সব মাধ্যমেই ছাপ রেখেছিলেন বলিষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে। ব্যক্তিগত জীবনে কবি, গীতিকার কাইফি আজমির স্ত্রী। অভিনেত্রী শাবানা আজমি এবং সিনেমাটোগ্রাফার বাবা আজমির মা।
জন্ম হায়দ্রাবাদে। সালটা ১৯২৮। পথ চলা শেষ করলেন ৯১ বছর বয়সে। মুম্বই শহরে। কাইফি আজমির জন্ম শতবর্ষে চলে গেলেন তিনি।
২০১০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল আত্মজীবনী কাইফি অ্যান্ড আই। নিজের ছোটবেলা, বড় হওয়া, নাটক জীবন, কাইফি আজমির সঙ্গে প্রথম দেখা উঠে এসেছিল সেই বইতে।
এক মুশায়েরার আসরে দেখা হয়েছিল তাঁদের। তার আগে থেকে অবশ্য চিনতেন। কাউফির কবিতার বলিষ্ঠতা মুগ্ধ করেছিল। আসর শেষ হতে দর্শকরা ভেঙ্গে পড়েছিল তরুণ কবির কাছে। কুর্নিশ জানিয়েছিল তাঁর কলমকে। তবে অটোগ্রাফ শিকারীদের ভিড়ে দেখা যায়নি শওকতকে। ভিড় সরে গেলে আত্মবিশ্বাসী তরুণী এগিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কাউফির কাছে যাওয়ার বদলে তিনি গেলেন কাইফির অপর সঙ্গীর কাছে। নবীন কবির দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছিলেন তরুণী। অনেক পরে তিনি যখন কাইফির দিকে অটোগ্রাফের খাতা বাড়িয়ে দিলেন তাতে কবি লিখে দিলেন এক অনবদ্য কাপলেট।
শওকত কাইফির আত্মকথা নাটক হিসেব মঞ্চস্থও হয় পরে। ‘কাইফি আউর ম্যায়’।
শওকত কাইফির জন্ম ও বেড়ে ওঠা হায়দরাবাদে। কবি কাইফি আজমির সঙ্গে বিয়ের পর তিনি চলে আসেন মুম্বই। শওকত কাইফি ও কাইফি আজমি দুজনই ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন।
‘গরম হাওয়া’, ‘সালাম বোম্বে’, ‘বাজার’ ও ‘উমরাও জান’- ের মতো বহু সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে শওকত কাইফিকে।
ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে বেশ কিছুদিন আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। বাড়ি ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। ফিরিয়ে আনা হয় নিজের বাড়িতে। তারপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়।
তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সারা বলিউড।