ধর্ষকের অভিনয় করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হল এই অভিনেতাকে

ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সমাজের কুৎসিত ব্যধিটাকে তুলে ধরতে কিন্তু সেই ছবিই যে তার জীবনে এরকম একটি অনঅভিপ্রেত মুহুর্ত নামিয়ে আনবে তা ভাবতেও পারেনি অভিনেতা মৃণ্ময় রায়। হুগলি জেলার আরামবাগের ছোট্ট একট গ্রাম পান্ডুগ্রাম। সেখানকার বাসিন্দা মৃন্ময় রায়। ছোট বেলা থেকেই অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। সেই মতো নিজেকে তৈরি করতে কোনও কশরত করেননি। তবে তথাকথিত সিরিয়ালে অভিনয়ের পথে না হেটে মুলত থিয়েটারটাকেই নিজের স্বপ্ন সফলের পাথেও হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন মৃন্ময়। সেই মতো খুব ছোটো থেকেই থিয়েটারে অভিনয় করা। ২০১০ বিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার পর থেকে থিয়েটার ও শর্ট ফিল্মে অভিনয়ের ক্ষেত্রে পুরোপুরি নিয়োজিত করেন নিজেকে। কাজের সেই সুত্র ধরেই তাঁর কাছে শর্ট ফিল্ম ‘রিপেন্ট’-এ অভিনয় করার সুযোগ আসে। তাতে ধর্ষকের ভুমিকায় অভিনয় করেন মৃন্ময়। ছবির শেষে একটি শিশুকে ধর্ষণ করবে অভিনেতা মৃন্ময়। গোল বাঁধে সেই দৃশ্য নিয়েই। ছবিটি ইউটিউবে মুক্তি পাওয়ার পর ভাইরাল হয়ে যায় তাঁর কিছু ছবি। অনেকেই ভুল বুঝতে শুরু করে তাঁকে। এমনকি তাঁর ঘনিষ্ট বন্ধু সহ তাঁর বান্ধবীও তাঁকে ধর্ষক বলে মনে করতে থাকেন। কথা বলা বন্ধ করে দেয় তাঁর সঙ্গে। এরপরেই মানষিক অবসাদে ভুগতে থাকেন মৃন্ময়। তিনিও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় তাঁর ফেসবুক, ইন্স্টাগ্রাম সহ অন্যান্য সোসাল সাইট। তিনি তাঁর বন্ধু, বান্ধব এবং আত্মীয়দের বোঝাতে পারছিলেন না যে তিনি নিছক একটি অভিনয় করেছেন মাত্র। যদিও মৃন্ময়ের পাশে দাড়িয়েছেন পরিচালক সুরজিৎমৃন্ময়ের সামাজিক মর্যাদা  খাতিরে ছবিটিকে তুলে নিয়েছেন তাঁর ইউটিউব চ্যনেল ‘রসা’ থেকে।

mrinoy

সুরজিৎতনুশ্রী পরিচালিত শর্ট ফিল্ম ‘রিপেন্ট’। ছবিতে মুলত একজন ধর্ষক ও তাঁর মানষিকতার দিকটা তুলে ধরা হয়েছে। সেই অভিনয় করতে গিয়েই বাস্তবেই সমাজের কাছেও ব্রাত্য হয়ে গেল মৃন্ময়। এই ব্যপারে মৃন্ময়ের অবশ্য বক্তব্য যে তিনি শুধু অভিনয় করতে চেয়েছেন এখানে কোন কিছুই ব্যক্তিগত নয় এবং তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ধর্ষকদের খুবই ঘৃনা করে। তবে অভিনয়ের খাতিরে মানুষকে অনেক চরিত্রই করতে হয় সেটা সবার বোঝা উচিৎ। তবুও তাঁর বান্ধবীর তাঁকে ছেড়ে চলে যাওয়াটা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারিননি ।

ছবিটি ইউটিউব না দেখা গেলেও দর্শকরা সেটি দেখতে পারবে ডেইলিমোশনস-এ

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...