গুরুর পথেই সফল প্রবীণ আমরে

তিনিও আচরেকরের ছাত্র। শচীনের বন্ধু। কেউ ডেডিকেশন রাখতে পারে না তো কেউ আবার সুযোগের অভাবে হারিয়ে যায়। সুযোগের অভাবে হারিয়ে গিয়েছিলেন প্রবীণ আমরে। টেস্টের গড় সেই কথাই বলছে। কত জানেন ৪২.৫০। সহজ নয় কিন্তু। হলে কী হবে সুযোগ পেয়েছেন এগারোটি টেস্টে। আর নামতেন হত পাঁচ, ছয়, কখনও সাত নম্বরেও।

pra 2

ভালো খেলোয়াড়কে পিছনে ফেলে দিলে তার ভালোটা আর বেরোয় না। সেটাই হয়েছিল। কাম্বলির উত্থানের পর থেকে তা আরও স্পষ্ট হয়। অতঃপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯১-এ কেরিয়ার শুরু করে শেষ ৯৪ সালে। অভিষেকেই সেঞ্চুরি। তাও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ডোনাল্ড, ম্যাকমিলনদের বিরুদ্ধে। ওই ভাগ্য খারাপ হলে যা হয়।

ইডেন, ১৯৯১। প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখলেন আমরে। ভারত ঝলসে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ে। লড়ে যাচ্ছেন শচীন। রুখে দাঁড়ালেন আমরে। হারা ম্যাচ আচরেকরের দুই ছাত্র জিতিয়ে আসেন। আমরে করেন মূল্যবান পঞ্চাশটি রান।

ডোনাল্ডদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকাতেই অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি। দলের সংকটেই। দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি একদিনের খেলাতেও তাঁর অপরাজিত ৮৪ ভারতকে জেতায়। সঞ্জয় মঞ্জরেকরের ব্যর্থতার পর প্রবীণের এমন শুরু ভারতের মিডল অর্ডারকে দীর্ঘদিন ভরসা দেবে এমনই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু পরের সিরিজে বিনোদ কাম্বলি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ডবল সেঞ্চুরি করে সবার দৃষ্টি কেড়ে নেন।

আমরে ওই সিরিজে ভালোই ব্যাট করেন। তবে ম্লান হয়ে যান আজহার আর পরে কাম্বলির দাপটে। তিনি নামতেন অনেক তলায়। বড় রানের সুযোগ কম। হিরো কাপ সেমিফাইনাল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেই ইডেনেই আজহারের দুর্দান্ত ইনিংসের পাশে একটি উপযোগী ইনিংস খেলেন আমরে।
বলা যায়, এটাই ওঁর শেষ স্মরণীয় ইনিংস। কারণ এরপর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজটার পরেই বরাবরের মতো জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন।

pra 3

বহু বছর কোচিংয়ে মন দিয়েছেন আমরে। মুম্বইয়ের তিনবার রঞ্জি জয়ী কোচ তিনি। আইপিএলে পুনে ওয়ারিয়ার্সকে কোচিং করিয়েছেন তিনি। ২০২১ সালে আগামী দুই মরশুমের জন্য প্রবীণ আমরেকে সহকারী কোচ নিযুক্ত করেছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

সরকারিভাবে দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রিকি পন্টিংয়ের সহকারী হিসাবে কাজ করবেন তিনি।
২০১৪ সাল থেকে ৫২ বছর বয়সী আমরে ওই দলের হয়ে প্রতিভা অন্বেষণের কাজ করেছেন। এখন আমরেকে সরাসরি কোচিং স্টাফে যুক্ত করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমরে জানিয়েছিলেন, 'আমার উপর ভরসা রাখায় দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ। দল প্রথমবারের মত আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছেছে। এই আবহে দলে পদ পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রিকি এবং দলের অন্যান্যদের সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।'

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...