শুধু মাত্র প্রমোদ ভ্রমণের জন্য নয় এবার থেকে রুটেও চলবে এসি ট্রাম। চলতি গরমে রাস্তায় নেমে পড়বে এই ট্রাম এমনটাই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে এসি ট্রামের ভাড়া ও রুট ঠিক হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের কর্তারা আশাবাদী যে, এসি ট্রামও যাত্রী মহলে বেশ জনপ্রিয় হবে বলে। এই বিষয়ে নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রমোদ ভ্রমণের জন্য ইতিমধ্যেই এসি ট্রাম ব্যবহার করা হলেও রুটে সাধারণ যাত্রীদের জন্য তা চালানো হতো না। এবার তীব্র গরমে ট্রামেও এসির মজা উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা। এই বিষয়ে পরিবহন নিগম আরোও জানিয়েছে, এক বগির দু’টি এসি ট্রাম আগে থেকেই ছিল। কিন্তু, সেগুলিকে নিয়মিত রুটে চালানো হয় না। মূলত ছুটির দিনে প্রমোদ ভ্রমণের জন্য এবং কোনও অনুষ্ঠানের জন্য এসি ট্রাম ভাড়ায় দেওয়া হয়ে থাকে।
নিগমের এক কর্তা বলেন, বর্তমানে নিগমের এসি বাস ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে যাত্রী মহলে। তাই সেই মতই এসি ট্রাম ও রুটে চালানো হবে। কার্যত এই ধরনের ভাবনা থেকেই যাত্রীদের সুবিধার্থে এক বগির দু’টি এসি ট্রাম তৈরি করা হয়েছিল। কিছুদিন আগে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম দু’টির যাত্রার সূচনা করেন। এই ট্রাম দু’টিকে এখন প্রমোদ ভ্রমণের বদলে সাধারণ রুটে চালানো শুরু হয়েছে। এই পরিকল্পনা সফল হলে আগামী দিনে আরও কয়েকটি এই ধরনের ট্রাম তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যে যে রুটে এসি ট্রাম চলবে তা হল - নোনাপুকুর থেকে ধর্মতলা হয়ে শ্যামবাজার। ফের শ্যামবাজার থেকে ওই রুটেই ফিরছে নোনাপুকুর। ইতিমধ্যেই কয়েকদিন পরীক্ষামূলকভাবে ওই রুটে এসি ট্রাম চালানো হয়েছে। বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের কিছু কাজ করা হচ্ছে ট্রাম দু’টিতে। আগামী দু’-একদিনের মধ্যেই সেগুলিকে ফের রুটে ফেরানো হবে। দিনে আপ-ডাউন মিলিয়ে মোট ছ’টি ট্রিপে চলবে এসি ট্রাম। প্রতিটি ট্রামে ২৪টি করে সিট রয়েছে। এই ট্রামের ভাড়ার দু’টি স্টেজ করা হয়েছে। প্রথম পাঁচ কিলোমিটারের জন্য ভাড়া ধার্য হয়েছে ২০ টাকা। পাঁচ কিলোমিটারের বেশি হলে ভাড়া দিতে হবে ২৫ টাকা। এই বিষয়ে নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে দৈনিক কমবেশি ৪০ থেকে ৪৫টি ট্রাম চালানো হয়। কিন্তু, প্রতিদিন না নামলেও রুটে চালানোর জন্য তৈরি রাখা হয়েছে ৬০টি ট্রামকে। বর্তমানে নিগমের হাতে ট্রাম রয়েছে আড়াইশোরও বেশি। তার মধ্যে ১২০টি ট্রাম রুটে চালানোর উপযোগী। ট্রামের সঙ্গে শহরের ঐতিহ্য জড়িত। তাই এসি ট্রামও, ট্রাম রেস্তোঁরা এবং ট্রাম মিউজিয়াময়ের মত বেশ জনপ্রিয় হবে শহরবাসীর কাছে- এমনটাই মনে করছে পরিবহণ নিগম।