সাশ্রয়ী এসি

লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। পাহাড় থেকে সমতল সর্বত্রই। পাহাড়ের তাপমাত্রাও এখন ৪০ ছুঁয়ে যায়। সমতল কিংবা সমুদ্র এলাকায় ৫০ ছাড়িয়ে। বরফ গলছে হিমালয়ের।

গত কয়েক বছর ধরে গরমের মরসুমে তুলনামূলক ভাবে বেড়েছে এসির চাহিদাও। তৈরি হচ্ছে প্রবল বিদ্যুৎ সংকট।

এসি গরমে ঠাণ্ডার স্বস্তি এনে দিলেও বিশাল অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল বড় অস্বস্তির কারণ।

সেই সমস্যার সমাধান করেছেন মধ্যপ্রদেশের রবি প্যাটেল। বাল্ব জ্বালাতে যতটা বিদ্যুৎ লাগে ঠিক সেই পরিমাণ বিদ্যুতে চলবে একটা আস্ত এসি। এই আবিষ্কার রবি আর তার টিমের।   

একটা ছোট এয়ার কন্ডিশনার। যেটা শুধুমাত্র বিছানা তার চারপাশের জায়গা ঠাণ্ডা রাখবে। তিনটে বাল্বে বিদ্যুৎ খরচ হয় ঠিক সেই পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগবে এই এসি মেশিনে।

১.৫ টন রেগুলার এসি’র মত তাপমাত্রা। কিন্তু ওজন মাত্র ১৩ কিলোগ্রাম।

দেখতে অনেকটা তাঁবুর মত। মশারিও বলা যায়। কুলিং মেশিন থাকে খাটের যে জায়গায় শোয়া হবে সেই দিকে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয় এবং তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ দুই দিক থেকেই কার্যকরি।

রবি দাবী করেছেন সাধারন এসি মেশিনের তুলনায় প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ কমে যাবে।

একটা সময় ছিল যখন এসি কে লাক্সারি ভাবা হত। কিন্তু এখন তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে,  এসি আর লাক্সারি নেই। প্রয়োজনের জিনিস হয়ে গিয়েছে।

রবি নিজে যখন এসি মেশিন নিয়ে নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু করলেন তখন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সঙ্গে দামের দিকটাও তাঁর মাথায় ছিল। বাজেট একটা সমস্যা হয়ে যায়।

সেলফ ইন্সটলড সিস্টেমে কাজ করে এই ধরনের এসি। ইনভার্টারেও চলবে।

রবি আর তার টিম মেম্বারদের বক্তব্য অন্য রেগুলার এসির সঙ্গে তাদের নিজেদের তৈরি করা এসির সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল বিদ্যুতের সাশ্রয়। বাণিজ্যিক দিক থেকে সেটাই এগিয়ে রেখেছে তাদের। মধ্যপ্রদেশ ছাড়িয়ে অন্যত্রও ছড়িয়ে দিতে চাইছেন নিজেদের আবিষ্কার।

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...