পৃথিবীর বুকে যেমন বাস করে মানুষ থেকে শুরু করে নানা প্রাণী, সেরকমই পৃথিবীতেই থাকে উদ্ভিদগোষ্ঠীও। কালের নিয়মে যেমন জন্ম নেয় প্রচুর উদ্ভিদ ও প্রাণী, আবার কালের নিয়মে তারা হারিয়েও যায়। প্রচুর প্রাণী ও উদ্ভিদ ইতিমধ্যেই পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়েও গেছে। কিছু প্রজাতিকে তাদের মধ্যে থেকে সংরক্ষণ করা গেলেও কিছু প্রজাতি হারিয়ে গেছে চিরতরে। সেরকমই কিছু নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া ভেষজ গাছকে নিয়ে একটি বাগান তৈরী করেছেন কর্ণাটকের বি. ভেঙ্কটগিরি।
জানা গেছে, একজন শহর-ভিত্তিক পরিবেশবিদ হওয়ার সুবাদে পরিবেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা থেকে বানিয়ে ফেলেছেন এমন একটি বাগান যাতে রয়েছে প্রায় ৫০০ টিরও বেশি ভেষজ উদ্ভিদ। তার মধ্যে বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া উদ্ভিদ। ৭৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি কর্ণাটকের কোনায় কোনায় ঘুরে বেড়ান শুধুমাত্র ভেষজ উদ্ভিদের নানা গুণাবলী জানার জন্য। জানা গেছে, এই মুহূর্তে তার কাছে রয়েছে প্রায় ১৫০০ ধরণের অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া গাছের বীজ। তিনি নিজে জানিয়েছেন, তিনি স্বশরীরে ঘুরে ঘুরে এই গাছের বীজ জোগাড় করেছেন। আর তার থেকেই বাড়িতে তৈরী করেছেন এই বাগান। এই বাগানের মধ্যেই রয়েছে নবগ্রহবন, নন্দনবন, পবিত্রবন, অশ্বিনীবন প্রভৃতি। যুবসমাজের মধ্যে গাছের উপকারিতা সম্পর্কে বার্তা দেওয়ার জন্যই তার এই প্রচেষ্টা, জানালেন তিনি নিজেই। তিনি জানান,পুরাণে উল্লিখিত ভেষজ গাছগুলিকেই তিনি সংরক্ষণ করার চেষ্টা করছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এনার কার্যকলাপ প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে যান এই ব্যক্তি। প্রচুর মানুষের প্রশংসাও কুড়ান তার সাথেই। তিনি জানালেন, শুধু বাড়িতে বাগান করেই ক্ষান্ত হননি তিনি, স্কুলে স্কুলে যখন প্রদর্শনী হয় তখন তিনি সেখানেও পৌঁছে যান স্কুলে বাচ্চাদের এই বিষয়ে উৎসাহিত করার জন্য। আমরা হয়তো অনেকেই নিজেদের প্রকৃতিপ্রেমী বলে থাকি কিন্তু বি. ভেঙ্কটগিরি প্রকৃতির জন্য যা করছেন তা একজন প্রকৃত প্রকৃতিপ্রেমীর পক্ষেই সম্ভব।