ঘরের মধ্যে একদিকে মোমের আলো, অন্যদিকে সারা ঘর নানা পেন্টিং দিয়ে সাজানো| তারমধ্যেই বিশ্রাম নিচ্ছেন কিছু ড্রাইভার| খুব শীঘ্রই এই দৃশ্য সামনে আসতে চলেছে সকলের কারণ মুম্বাইতে সম্প্রতি শুধুমাত্র ড্রাইভারদের জন্য তৈরী হয়েছে এক বিশেষ বিশ্রামাগার| তবে এই বিশ্রামাগার সমস্ত ড্রাইভারদের জন্যই নয়| এই সুবিধা শুধুমাত্র সেইসব ড্রাইভারদের জন্য যারা চার্চগেট থেকে দাহানু পর্যন্ত লোকল ট্রেন চালান|
সিগনালের প্রচন্ড যানজটের মধ্যে পড়ে অনেকসময়েই এই রুটের ট্রেনচালকদের বিরক্তির কারণ হতে দেখা যায়| তাই এবার থেকে এই ১২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার আগে এই বিশ্রামাগারে বসে ধ্যান বা মেডিটেশন করার পরামর্শ দিয়েছে ওয়েস্টার্ন রেলওয়ের মুম্বাই ডিভিশন| সিগনালের যাঁতাকলে পরেও ড্রাইভাররা যাতে কোনভাবে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়েন তার জন্যই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত|
অনেকসময়েই দেখা যায়, চালক হয় তাদের মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে যার ফলে চালক ট্রেনকে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই থামিয়ে ফেলছে| এই ঘটনাকে সিগনাল পাসিং অ্যাট এ ডেনজার মার্ক বলা হয়ে থাকে| এই ঘটনা ঘটলে সেখানে হ্য একটি বগির কোনো ক্ষতি হয় নাহয় সেই ট্রেন চালকের কাজ চলে যায়| জানা গেছে, ২০০৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে ৪৪টি| সম্প্রতি, আগস্ট থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে তিনবার| প্রতিবারই এই ঘটনার ঘটা নাড়া দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকে| বারবার একই ঘটনা ঘটার কারণ খুঁজতে ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার জিভিএল সত্যকুমার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে একট বৈঠক করেন| বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তে তারা আসেন যে, এখানে সেইসব চালকরাই কাজ করে থাকেন হয় যারা ডাইরেক্ট ইন্টারভিউ দিয়ে কাজে ঢুকেছেন অর্থাৎ যাদের বাড়ি মুম্বায়তেই এবং একদল আছেন সেইসব ড্রাইভাররা যারা এর আগে মালবাহী গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করে এসেছেন| মালগাড়ির চালক যারা তাদের বাড়ি হয় ভাপি, ভালসাদ কিংবা উদনা-তে| এর ফলে প্রতিদিন প্রায় দুই ঘণ্টা করে তাদের জার্নি করতে হয় বাড়ি পৌঁছানোর জন্য| এছাড়া লবি হলো এমন একটি জায়গা যেখানে ট্রেনগুলি সারাদিনের জন্য রাখা থাকে| এর আগে বরিভালি কিংবা চার্চগেটেই আসতে হতো প্রত্যেক ড্রাইভারকে| অনেকেই যারা দূর থেকে আসেন তাদের জন্য চার্চগেট বা বরিভালি গিয়ে ট্রেন নেওয়া কঠিন হয়ে যায়| এইসব কথা চিন্তা করেই তাদের জন্য নতুন লবি তৈরির কথাও ভাবে রেল কর্তৃপক্ষ|