যে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার কান্নায় সুর থাকে, সে যে পরিণত বয়সে দিকপাল হবে তা তো নিয়তিই ঠিক করে পাঠান। শচীন কর্তার বাড়িতে অশোক কুমার যখন আসেন তাঁর শিশুপুত্রকে দেখতে, তখন দেখেন, শিশুটি শুধু 'পা' বলে যাচ্ছে। তিনি শিশুটির নাম রাখলেন 'পঞ্চম'। এছাড়াও কথিত আছে, রাহুল দেব বর্মন ছোটবেলায় যখন কাঁদতেন, তখন সেই কান্নার সুর, সরগমের পঞ্চমের সুরের সঙ্গে হুবহু মিলে যেত। বলিউডি ঘরানাকে পাল্টে দিয়েছিলেন তিনি, নিজস্ব স্টাইলে বিভিন্ন রকম ক্রিয়েটিভ যন্ত্রাণুষঙ্গের মাধ্যমে। বিদেশী সুর তাঁর সৃষ্টিতে দেশি হয়ে উঠত। এছাড়াও আমাদের বহু ব্যবহৃত জিনিস দিয়ে অনায়াসে তৈরী করতেন অনন্য সব সুর। কাঁচের গ্লাসে চামচ দিয়ে সুর সৃষ্টি করেছিলেন 'চুরা লিয়া' গানটির। পেয়েছিলেন প্রচুর পুরস্কার এবং সম্মান।
এই শিল্পীর এ বছর ৮০ তম জন্মদিবস উদযাপিত হল। সেই উপলক্ষে তাঁকে বিশেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভারতীয় ডাক বিভাগ ভারতীয় সংগীতে আর ডি বর্মনের সৃষ্টিকে সম্মান জানিয়ে তাঁর ছবি দেওয়া ডাকটিকিট প্রকাশ করল। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে তুলতে অমিত কুমার ফ্যান ক্লাবের তরফ থেকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পোষ্ট মাস্টার জেনারেল অমিতাভ সিং, জাভেদ আলী, আকৃতি কক্কর, ঊষা উত্থুপ, প্রমুখ। নজরুল মঞ্চে আয়োজিত একটি সংগীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে এদিন স্মরণ করা হয় আর ডি কে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অমিত কুমারের সঙ্গে আর ডি-র যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক ছিল। প্রায় ১৫০টি গান গেয়েছেন তিনি আর ডি-র সুরে। তাঁর শিল্পী হয়ে ওঠার পেছনে বাবা কিশোর কুমারের পর আর ডি-ই ছিলেন গুরুর ভূমিকায় বলে জানান এদিন অমিত কুমার। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল 'আতি রহেঙ্গে বহারেঁ'।