যেরকমটি পরিকল্পনা হয়েছিল সেরকমই কাজ হতে চলেছে। জ্বালানি নিয়ে সমস্যা বহুদিনের আর বহুদিনের এই সমস্যা মেটানোর জন্য একটি নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছিলেন বিজ্ঞানীগণ। পরিবেশবিজ্ঞানীগণ একপ্রকার সৌর দ্বীপ প্রস্তুত করার কথা ভাবছিলেন। বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে নিশ্চই? চলুন ব্যাপারটি বিশদে জানা যাক.........
জ্বালানির সমস্যা সমাধানের জন্য অনেকদিন ধরেই বদ্ধপরিকর বিজ্ঞানীগণ। তাই তারা এমন একটি উপায় অবলম্বন করতে চেয়েছিলেন যাতে আগামী দিনে জ্বালানি নিয়ে না ভাবতে হয়। যেমন ভাবা তেমন কাজ। পরিকল্পনা করা হলো একটি সৌর মিথানল দ্বীপ তৈরির। ছোট একটি দ্বীপের সমান আয়তনের ১০০ মিটার ব্যাসার্ধের প্রায় ৭০ টি সৌর প্যানেল নিয়ে তৈরী হতে চলেছে সৌর মিথানল দ্বীপ। জানা গেছে, সমুদ্রের উপর গড়ে তোলা এই দ্বীপটি পর্যাপ্ত পরিমান সূর্যালোক পেলে বিশেষ কিছু পদ্ধতিতে জ্বালানি তৈরী করতে সক্ষম হবে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই জাতীয় দ্বীপ তৈরী করতে যে পরিমান সৌরশক্তি, জায়গা বা জলের প্রয়োজন তা একমাত্র সমুদ্রের বুকেই পাওয়া সম্ভব। এই কারণে তারা ইন্দোনেশিয়া, উত্তর অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রাজিলের সামুদ্রিক অঞ্চলগুলি বেছে নিয়েছেন এই জাতীয় দ্বীপ তৈরী উদ্দেশ্যে। জানা গেছে, প্যানেলগুলি একটি নির্দিষ্ট পর্দা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় সূর্যের দিকে মুখ করে রাখা থাকবে যা এই প্যানেলগুলিতে ২.৪ মেগাওয়াটের শক্তি দেবে।
কিন্তু সমুদ্রের জল কিভাবে ব্যবহৃত হবে? সমুদ্রের জলে যেহেতু লবণের ভাগ বেশি তাই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রথমে সেই জলকে লবন্মুক্ত করে তারপর সেই জলকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হবে। লবন্মুক্ত করার পর হাইড্রোলিসিস পদ্ধতিতে জলের হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন কে আলাদা করার বন্দোবস্ত করা হবে। এই বিশেষ কাজটি করার জন্য একটি বিশেষ ট্যাঙ্কের ব্যবস্থাও থাকছে সেখানে।এই ট্যাঙ্কের সাথে আবার যুক্ত থাকবে একটি আন্ডারওয়াটার পাইপলাইন যা বাষ্প সঞ্চালনের জন্য কাজে লাগবে। আন্ডারওয়াটার পাইপলাইনটি তীরে থাকা স্টিম টারবাইনের সাথে যুক্ত থাকবে যা ১ গিগাওয়াট শক্তির উৎপাদন হবে এবং একইসাথে গ্রিন মিথানল ও কার্বন ডাই অক্সাইডও তৈরী হবে। এই প্রকল্পটি নিয়ে বেশ আশাবাদী বিজ্ঞানমহল।