অসাবধানতায় বিপদ বিমানে

কথায় আছে, সাবধানের মার্ নেই। কিছু ক্ষেত্রে সাবধান না হলে যে কি কি বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে তার উদাহরণ আমরা বারবারই পেয়েছি। কিন্তু সাবধান না হওয়ার ফলে কিভাবে একটি গোটা বিমান বিপদে পড়তে পারে তার গল্পই আজ শোনাবো আপনাদের। সামান্য একটি ভুলের জন্য পাইলটসহ বিমানের বাকি যাত্রীদের ঠিক কতটা বিপদ হতে পারতো তা আপনারা পুরোটা পড়লেই বুঝতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি হয়েছিল সেদিন...............

 

স্বাভাবিক নিয়মেই জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্ট  থেকে মেক্সিকোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল এয়ারবাস এ৩৩০-২৪৩ নামক একটি বিমান। বিমানটি ঠিক যখন মাঝ আকাশে সেই সময় আয়েশ করে ককপিটে বসে কফি খাচ্ছিলেন বিমানচালক।কফির কাপটি হোল্ডারে না রেখে তিনি রেখে দেন পাশে থাকা একটি ট্রেতে। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। ঢাকা না দেওয়ার কারণে কফির কাপ উল্টে সেই কফি গিয়ে পড়ে ককপিটের কন্ট্রোল প্যানেলে। নিমেষের মধ্যে ধোঁয়ায় ভরে যায় চালকের কেবিন। পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়তেই ভয়ে কেঁপে ওঠেন যাত্রীরা। জানা আছে, সেই মুহূর্তে বিমানটি ছিল অতলান্তিক মহাসাগরের একেবারে মধ্যস্থলে। বিমানটিতে সেই মুহূর্তে যাত্রা করছিলেন কেবিন ক্রু ও পাইলটসহ মোট ৩২৬ জন যাত্রী। বাধ্য হয়েই বিমানচালককে আয়ারল্যান্ডের শ্যানন- এ বিমানটির জরুরি অবতরণ করাতে হয়।

 

সূত্রের খবর, যাত্রীরা প্রত্যেকেই সুরক্ষিত রয়েছেন। বিমানচালকের উপস্থিত বুদ্ধির জোরেই বেঁচে গেছেন এতজন যাত্রী। নাহলে ঐদিনই হয়তো সলিল সমাধি হতো সকলের। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইলেকট্রিক শক লেগে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও বিমানচালক বিমানটির জরুরি অবতরণ করান। এয়ার অ্যাকসিডেন্টস ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চ-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরেরই ফেব্রুয়ারি মাসে। কবে ঘটনাটি ঘটেছে জানা গেলেও কোন এয়ারলাইনসের বিমানে ঘটনাটি ঘটেছে তা জানা যায়নি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নিজেদের নিয়মকানুন নিয়ে বেশ সতর্ক হয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। চলন্ত বিমানে পাইলটকে কফি দেওয়া হলে সেই পাত্রের যাতে উপযুক্ত ঢাকনা থাকে এবং সেই পাত্র রাখার জন্য যেন হোল্ডার থাকে সেই দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। বিমান দুর্ঘটনা এড়াতে এবং বিমানযাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এইসব সিদ্ধান্ত,জানালেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...