ভূমিকম্প যেন তাইওয়ানকে ছাড়তেই চাইছে না! ২২ এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভূমিকম্প এবং ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পনের ফলে বার বার কেঁপে উঠছে তাইওয়ান। দফায় দফায় আফটারশকের কবলে পড়েছে। রিখটার স্কেলে সর্বোচ্চ কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩।
তাইওয়ানের সেন্ট্রাল ওয়েদার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে যে স্থানীয় সময় অনুযায়ী, সোমবার বিকেল ৫টা ৮মিনিটে (ভারতীয় সময় রাত ১০টা) তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেইয়ে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৫। এরপরেই মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বার বার ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পনে কেঁপে উঠেছে তাইপেই।
জানা যায় যে মঙ্গলবার রাত আড়াইটে নাগাদ ফের তীব্র কম্পন হয় সেখানে। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.০। এরপর ঠিক ছ’মিনিট পর আবার ভূমিকম্পনের কবলে পড়ে তাইপেই। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৩। তবে, সোমবার বিকেল থেকে তাইওয়ানে যতবার ভূমিকম্প হয়েছে, তার মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল এটি।
এদিন কম্পনের উৎসস্থল ছিল তাইওয়ানের পূর্ব দিকে হুয়ালিয়েন এলাকা থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৪.৮ কিলোমিটার গভীরে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর যে এদিন বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন এলাকায় ভূমিকম্প হওয়ায় ১৪ জন মারা গিয়েছিল। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.২। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে যে সেই দিনের পর থেকে অন্তত এক হাজার বার কেঁপে উঠেছে তাইওয়ান।
এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ তাইওয়ান। কারণ দু’টি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত এই দেশটি। ফলে, সেই জন্যই প্রায়শই ভূমিকম্প হয় এখানে। ২০১৬ সালের ভূমিকম্পের স্মৃতি এখনও সকলের মন থেকে মুছে যায়নি। এর আগে ১৯৯৯ সালে প্রায় ২ হাজার মানুষ মারা যান ভূমিকম্পে। কম্পন-প্রবণ দেশ বলেই এখানকার বহুতল ও বিভিন্ন ভবনগুলি যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে তৈরি করা হয় এবং স্থানীয়দেরও সবসময় সতর্ক আর সচেতন করা হয়।