না হাসলেই চাকরি যাবে!

‘না হাসলেই চাকরি যাবে’- শুনে ভাবছেন তো এ আবার কেমন কথা! কিন্তু সত্যি সত্যিই জারি হয়ে এমন নির্দেশিকা। রীতিমতো নোটিস জারি করে কর্মীদের জানানো হয়েছে চাকরিটি টিকিয়ে রাখতে হলে থাকতেই হবে সদা হাস্যময়।

এমন এক নির্দেশিকা জারি করেছে ফিলিপাইনের মেয়র। সমস্ত সরকারি অফিস, সরকারি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের মুখে হাসি থাকতেই হবে। এই নতুন নিয়মের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্মাইল পলিসি’। অফিস, ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে সরকারি বহু পরিষেবা ক্ষেত্রে কর্মীদের অসহযোগী মনোভাব এবং দুর্ব্যবহারের মুখে পড়তে হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। পৃথিবীর সব দেশেই কমবেশি এই সমস্যা আছে। কর্মীদের মনোভাব, সহযোগিতার অভাব প্রশাসন সম্পর্কে মানুষের মনে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে।

FotoJet - 2022-07-16T191817.283

 সেই সমস্যার সমাধানেই ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপের কুয়েজন প্রদেশের মুলানি শহর কর্তৃপক্ষ এমন অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে।

গত মে মাসে শহরে মেয়র নির্বাচন হয়। নতুন মেয়র হন অ্যারিস্টটল আগুইরে। গত জুনে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। চলতি মাসে শহর কর্তৃপক্ষ সরকারি কর্মীদের জন্য চালু করে ‘হাসির নীতি’।

মেয়র আগুইরে জানান, সরকারি সেবা দেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারীরা মুখ গোমড়া করে রাখেন। এটা মোটেও উচিত নয়। এতে তাঁরা যেমন কাজের আগ্রহ হারান, তেমনি সেবাগ্রহীতারাও অসন্তুষ্ট হন। তাই শহরের সব সরকারি কার্যালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের কাজের সময় মুখে হাসি ধরে রাখতে বলা হয়েছে।

শুধু নির্দেশিকা জারি করেই থেমে থাকেননি আগুইরে। এই নিয়ম যাতে সবাই মেনে চলে সেদিকেও কড়া নজরদারি চালু হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কোনও কর্মকর্তা–কর্মচারী এই নিয়ম ভাঙলে তাকে শাস্তিস্বরূপ সর্বোচ্চ ছয় মাসের বেতনের সমপরিমাণ জরিমানা দিতে হবে। শুধু তাই নয়, নিয়ম ভাঙার অপরাধ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারী চাকরিটিও হারাতে হত পারে।

সরকারী কর্মীদের রূঢ় আচরণ নিয়ে সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল এই শহরে। তিনি পদে এসেই মানুষের মুখে হাসি ফেরাবার উদ্যোগ নিলেন। ছাত্র থেকে প্রবীণ নাগরিক সকলেই খুশি তাঁর এমন নীতিতে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...