'তেরা ইয়ার হুঁ ম্যায়'... বলিউডের এই বিখ্যাত গানটিতে গুনগুন হয়তো সবাই করে কিন্তু মানে কতজন? তাই তো বলা হয় মানুষের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু যদি কেউ হয়ে থাকে তো সে হলো একমাত্র সারমেয়। বন্ধুত্বে কখনো বেইমানি করেনা যেই হাত, সেই হাত অবশ্যই একটি সারমেয়র। মানুষ মানুষের বিপদে পাশে এসে দাঁড়ায়নি এরকম উদাহরণ আমাদের সামনে খুব কম আসেনি। কিন্তু আজ পর্যন্ত এরকম উদাহরণ একটিও পাওয়া যায়নি যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি সারমেয় বিশ্বাসঘাতকতা করছে। তাই আজও মানুষের কাছে সবচেয়ে কাছের বন্ধু একটি সারমেয়ই। এই গল্পই আজ আবার শোনাবো আপনাদের।
ছোট্ট একটি মেয়ে। বল খেলতে খেলতে বলটি হঠাৎ গড়িয়ে চলে গেলো জলের দিকে। ছোট্ট মেয়েটিও টলমল পায়ে দৌড় দিলো সেইদিকে। তার যে এখনো বোঝার বয়সটাই হয়নি যে জলের বেশি কাছে গেলে তার বিপদ হতে পারে। তার খেয়াল রয়েছে সেই বলের দিকেই। এরকমই ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে জলের পাড়েই বসে রয়েছে একটি সারমেয়। হয়ত তার সামনে দিয়ে শিশুটি যাওয়ার সময়েই সে টের পেয়েছিলো শিশুটির বিপদ হতে পারে। তখনই সে দৌড়ে যায় মেয়েটির দিকে। গিয়েই শিশুটির জামা কামড়ে ধরে। জামা কামড়ে ধরেই শিশুটিকে পিছনের দিকে টানতে শুরু করে সেই সারমেয়। নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে গিয়ে তবেই জামার প্রান্ত ছাড়ে সেই সারমেয়। এরপর আবার সে নিজে জলে নেমে শিশুটির বল কুড়িয়ে আনে।
কাছে দাঁড়িয়েই একজন মানুষ এই সম্পূর্ণ বিষয়টির ভিডিও করেন। তিনি নিজেই সেই শিশুটিকে বাঁচাতে পারতেন কিন্তু তিনি যাননি কেন? এই প্রশ্নের মুখে পড়ে সেই ফটোগ্রাফার জানান, তিনি নিশ্চিত ছিলেন ওই সারমেয়, শিশুটির বিপদ দেখে ছুটে যাবেই। তাই তিনি সেখানে ক্যামেরা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। আসলে বাইরের দেশে সকল সারমেয় পোষ্যদের ট্রেনিং দেওয়া হয় কেউ জলে পড়ে গেলে তাকে কিভাবে বাঁচানো যায়। এই পোষ্যটিও স্বাভাবিকভাবেই ট্রেনিংপ্রাপ্ত। তাই সে শিশুটিকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে তারপর নিজেই গিয়ে বলটি তুলে আনে। ফিজিক্স অ্যাস্ট্রনমি নামক একটি প্রোফাইল থেকে সম্প্রতি এই টুইটটি করা হয় যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে জার্মান শেফার্ড প্রজাতির একটি সারমেয় দৌড়ে গিয়ে ফুটফুটে মেয়েটির জামা ধরে টেনে তাকে পাড়ে নিয়ে আসছে। তবে সে ট্রেনিংপ্রাপ্ত হোক বা না-ই হোক সারমেয়র বন্ধুত্বের প্রশংসায় এখন সোশ্যাল মিডিয়া ভরপুর।
One word this video... pic.twitter.com/D1jpArOdco
— Physics-astronomy.org (@OrgPhysics) June 16, 2019